অবশেষে উপস্থিত নির্বাচনের প্রহর ৷ উত্তেজনা, সন্ত্রাসের আতঙ্কের মাঝেই আজ অর্থাৎ বুধবার পাকিস্তানের একাদশতম জাতীয় নির্বাচন ৷ রিগিং ও হিংসার আশঙ্কা কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটপর্ব সম্পন্ন করতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ ৭১ হাজার পাকিস্তানি সেনা জওয়ান ৷ পুলিশকর্মী মিলিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সংখ্যা ৮ লক্ষ ৷
এদিন সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে পাক জাতীয় আইনসভার ২৭২টি আসন ও বালুচিস্তানের ১৬, পঞ্জাবের ১৪১টি, সিন্ধের ৬১টি আসন, খাইবার পাখতুনখোয়ার ৩৯টি আসন, ইসলামাবাদের ৩ এবং স্বশাসিত উপজাতি অঞ্চলের ১২ টি আসনে একসঙ্গে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ ৷ ৮৫ হাজার পোলিং স্টেশনে ভোট চলবে সন্ধে ৬টা অবধি ৷ ভোট দেবেন প্রায় সাড়ে ১০ কোটি পাক ভোটার ৷
গোটা বিশ্বের নজর এখন নওয়াজ শরিফের দলের সঙ্গে ইমরান খানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকে ৷ পাক জনতার রায়ে কে করবে বাজিমাত এখন সেটাই দেখার ৷ তবে এটা নিশ্চিত এবারের ভোটে পাক প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখা যাবে নতুন মুখ ৷
মূলত লড়াই নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লিগের সঙ্গে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের ইমরান খান ৷ তবে মসনদের লড়াইয়ে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আসিফ আলি জারদারি, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ৷ জনমত সমীক্ষা বলছে ইমরান খানের নতুন পাকস্তিন গড়ার স্বপ্নেই মজেছেন দেশের অধিকাংশ জনগণ ৷ গণতান্ত্রিক পাকিস্তানে বরাবরই সেনাতন্ত্রের প্রভাব দেখা গিয়েছে ৷ গণতন্ত্রের মোড়কে প্রতিবেশী দেশে বকলমে দেশ চালায় সেনা এমনই শোনা যায় ৷
২৭২টি আসনে ভোট হলেও পাক জাতীয় আইনসভার মোট আসন সংখ্যা ৩৪২ ৷ ম্যাজিক ফিগার ১৭২ ৷ ক্ষমতা দখলের জন্য ১৩৭টি আসন পেলেই চলবে ৷ কারণ মহিলা ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলি সমানুপাতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বণ্টন করা হবে ৷
Be the first to comment