হাইকোর্টে জোড়া অস্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন। একাদশ দ্বাদশের পর নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও অস্বস্তিতে পড়ল এবার এসএসসি ৷ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল নিয়ে প্রশ্নের পর মডেল প্রশ্নপত্র নিয়েও হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে কমিশন। মাধ্যমিক স্তরে ৩টি প্রশ্ন ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৫টি ভুল প্রশ্ন এসেছিল। সেই প্রশ্নগুলিতে পুরো নম্বর দিয়ে দিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এর ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেধাতালিকায় পরিবর্তনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷ এর ফলে ফের আশা-আশঙ্কার দোলাচলে লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ ৷
একাদশ-দ্বাদশ ও নবম-দশম স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দায়ের হওয়া আরও একটি মামলায় বেকায়দায় স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ এসএসসি-এর মডেল উত্তরপত্র দেওয়া উত্তর নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা ৷ কুন্তল সামন্ত ও পীযুষ সেনাপতি সহ মোট ৬১ জন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে জানায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মডেল অ্যানসার ভুল ৷ কারণ তাদের দেওয়া উত্তরই সঠিক ৷
এদিকে মামলাকারীদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখর ববি সরাফ নির্দেশ দিয়েছেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তিনটি প্রশ্নে কমিশনের দেওয়া উত্তর ভুল এবং একই ভাবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর ভুল ৷ উল্লেখ্য দুই স্তরের পরীক্ষাতেই ইতিহাসের প্রশ্নে এমন উত্তর ভুল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ এই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, মামলাকারীদের উত্তর সঠিক হলে তাদের ওই প্রশ্নের জন্য প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের নাম বিবেচনা করতে হবে ৷
প্রসঙ্গত, উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক তিন স্তরেরই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব এই মুহূর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ঘাড়ে ৷ তিন স্তর মিলিয়ে শূন্যপদ প্রায় ৩২ হাজারেরও কিছু বেশি ৷ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদের জন্য পরীক্ষায় বসেন প্রায় এক লাখ ৪৩ হাজার পরীক্ষার্থী ৷ উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৫ হাজার শূন্যপদের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ২৩ হাজার ৷ এই বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত এখন আইনি ফাঁসে আবদ্ধ ৷
Be the first to comment