অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আরও একবার বাঙালির প্রতি চক্রান্ত ও জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী ৷ তাঁর অভিযোগ, নাম-পদবি দেখে চক্রান্ত করে বেছে বাঙালিদের নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ৷ দেশের বাসিন্দা হয়েও রাতারাতি শরণার্থী ৪০ লক্ষ মানুষ ৷ অসমের দ্বিতীয় খসড়া এনআরসি-তে চল্লিশ লক্ষ মানুষের নামে লালকালির দাগ। কার্যত রাতারাতি উদ্বাস্তু হয়ে গেলেন চল্লিশ লক্ষ মানুষ। মোট তিন কোটি তিরিশ লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে দু’কোটি নব্বই লক্ষের নাম। বাকিরা যাবেন কোথায়? অনিশ্চয়তা আর আশঙ্কায় বহু মানুষ।
অসমের নাগরিকপঞ্জি থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলনেত্রী বলেন, দেশবাসীকেই রিফিউজির তকমা দিচ্ছে ৷ ৪-৫ প্রজন্ম ধরে অসমে বাস, তারপরও এমন বাঙালি পরিবারের নাম বাদ পড়েছে খসড়া পঞ্জি থেকে ৷ বাঙালি খেদাও চলছে অসমে ৷ সংসদে তৃণমূল প্রতিবাদ করছে। প্রয়োজনে আমিও অসমে যাব ৷’
একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ চালানোর অভিযোগও এনেছেন তিনি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ৷ ইচ্ছে করে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে ৷ অসমে বাড়তি ১৫ কোম্পানি বাহিনী ৷ কেন এই বাহিনী পাঠানো হয়েছে ৷’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন সংসদে আইন প্রণয়ন হল না ৷ কেন পশ্চিমবঙ্গকে কিছু জানানো হল না ৷ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের পাশেই অসমের সীমানা ৷ আইনশৃঙ্খলা অবনতি নিয়ে আমরা চিন্তিত ৷ অসমের মানুষ অসহায় পড়েছেন ৷ কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না ৷’
অসমের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে চলছে বিতর্ক ৷ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
অসমের এই পরিস্থিতি নিয়েই উদ্বেগে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৈধ আধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও অসমের নাগরিক পঞ্জি থেকে লক্ষ লক্ষ বাঙালির নাম পড়েছে ৷ সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, এমনকি পাসপোর্টও আছে তাও নাম বাদ ৷ হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালি নাম পদবি দেখে বাদ দেওয়া হয়েছে নাম ৷ তাহলে কি ওখানে জোর করে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে?
Be the first to comment