১৬ই ডিসেম্বর,২০১২ নির্ভয়া গণধর্ষণ কান্ডঃ ধর্ষণ এবং হত্যা নিয়ে জঘন্য মামলা, যার জন্য সড়ক থেকে সংসদ, দেশ থেকে দুনিয়া সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। এই জঘন্য লজ্জাজনক ঘটনা এটাই প্রমান করেছিল মনুষ্যত্ব খুন হয়েছে। দেশের নাম সারা বিশ্বের কাছে লজ্জায় মাথা নত হয়েছে। এই ঘটনায় নির্ভয়ার পরিবার সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছিল।
অবশেষে নির্ভয়ার পরিবারে ভালো দিন আসতে চলেছে। নির্ভয়ার ভাই পাইলট হয়েছে। এর জন্য নির্ভয়ার মা আশা দেবী বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। আশা দেবী বলেছেন, রাহুল গান্ধীই হল সেই মানুষ যিনি এই পরিবারের ভালো চেয়েছেন এবং জীবনে ঘুড়ে দাঁড়ানোর উৎসাহ দিয়েছেন।
ঐ ঘটনায় পুরো পরিবার ভেঙ্গে পড়েছিল, কিন্তু নির্ভয়ার ভাই নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলো। নির্ভয়ার ভাই বলেছে, রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র ওর শিক্ষার জন্যই স্পনসর করেনি তা নয়, বারেবারে ফোন করে ওকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। নির্ভয়া কান্ডের সময় নির্ভয়ার ভাই ১২ ক্লাসে পড়তো। ওর আর্মিতে যোগদান করার ইচ্ছা ছিলো এবং তা রাহুল গান্ধীও জানতেন। রাহুল গান্ধী ওর লক্ষ্যকে স্থির রাখতে বলেছেন এবং ওকে পাইলট ট্রেনিংয়ের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
২০১৩ সালে নির্ভয়ার ভাই সিবিএসই পরীক্ষায় পাশ করার পর রায়বেরেলিতে ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান একাডেমিতে অ্যাডমিশন নেয়। তারপরই সে রায়বেরেলিতে চলে যায়। যেখানে সে অনেক সমস্যায় পড়েছিলো। ১৮ মাসের ট্রেনিং এর সময় নির্ভয়া কান্ডের কেস নিয়ে অনেক অসুবিধার মাঝেও রাহুল গান্ধী ওকে লক্ষ্যে স্থির রাখার জন্য বারবার ফোন করে সাহস জুগিয়ে গেছেন।
নির্ভয়ার মা বলেছেন, নির্ভয়ার ভাই এর পাইলট ট্রেনিং চলছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই প্লেন চালাবে। উনি এও বলেছেন যে রাহুল গান্ধী ছাড়াও ওনার বোন প্রিয়ংকা গান্ধীও ফোন করে খোঁজ খবর নিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, নির্ভয়া কান্ডে জড়িত অপরাধীদের ওপর ধর্ষণ ও হত্যার জন্য আরোপিত করা হয়েছে। এক অপরাধীর পুলিশ কাস্টডিতেই মৃত্যু হয়েছে, বাকি চার জনের ফাঁসির সাজা হয়েছে এবং একজন নাবালক হওয়ায় তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ সারা ভারত তথা বিশ্বের কাছে খবর চলে গেছে যে, নীরবে রাহুল গান্ধী অবদান রেখে গেছেন নির্ভয়ার পরিবারের ওপর, যার জন্য আজ নির্ভয়ার ভাই পাইলট হয়েছে এবং নির্ভয়ার বাবা একটি চাকরিও পেয়েছেন।
Be the first to comment