সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন দিল্লি গিয়ে এনআরসি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় চাইবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কাছে। মঙ্গলবার বিকেলেই সময় নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেখা করলেন তাঁর সঙ্গে। আর জানিয়ে দিলেন, বাংলায় এনআরসি করতে এলে গৃহযুদ্ধ হবে।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে, মমতা বলেন, “আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি একসঙ্গে ৪০ লক্ষ মানুষকে পরিচয়হীন করে দেওয়া হয়েছে। এটা এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই মানুষগুলো এখন খাবার পাবে কী ভাবে? রেশন পাবে কী করে?” সেই সঙ্গে মমতা বলেন ভারত যখন পরাধীন ছিল এবং দেশ ভাগ হয়নি সেই সময় পাকিস্তানের লোক পাঞ্জাবে, গুজরাটে এসেছিল। তেমনই বাংলাদেশের লোক অসম, ত্রিপুরা, বাংলায় এসেছিল।
ইন্দিরা-মুজিবের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তৃনমূল সুপ্রিমো। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, অসমে যাদের নাম বাদ গিয়েছে তারা সবাই বাংলাদেশি নয়। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের লোকও আছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান গৃহমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন এই মানুষদের হেনস্থা করা হবে না।
এ দিকে বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নবান্নের দিকে। তাঁর দাবি, অসমে নাগরিকপঞ্জিতে নাম তোলার জন্য যত লোক আবেদন করেছিলেন তার মধ্যে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৭১টি আবেদনে বাংলার উল্লেখ ছিল। অসম সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এগুলি পাঠিয়েছিল বলে দাবি করে দিলীপ বাবুর অভিযোগ, তারমধ্যে মাত্র ৭ হাজার ৪৩০টি যাচাই করা হয়েছিল। যা মোট সংখ্যার ৬.৪৬ শতাংশ বলে খড়্গপুরের বিধায়ক বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থাই নেননি।
সোমবার যখন দিল্লি সফরে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী রওনা দিচ্ছিলেন, তার আগে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শুনেছি সনিয়াজির শরীর খারাপ। কিন্তু এ দিন সন্ধ্যায় জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল ৫টায় ১০ জনপথে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা মমতার।
Be the first to comment