২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে সভা ডেকে মোদী সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বাজাবেন তিনি। মঙ্গলবার দিল্লিতে গিয়ে সে কথাটা আরও পষ্টাপষ্টি বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে দেশের খ্রীষ্টান ধর্মযাজকদের একটি আলোচনা সভায় বক্তৃতা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বক্তৃতা প্রসঙ্গে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, এক হামবড়াই লোক ক্ষমতায় বসে রয়েছেন। দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। ভাবটা এই যে কদিনের জন্য ক্ষমতায় এসেছি—সব ধ্বংস করে দেব! এটা হতে পারে না। মমতার কথায়, ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আমাদের সাংবিধানিক মর্যাদা রাখতে হবে। শুধু ভোটে জেতার জন্য একজন সবাইকে বিপদে ফেলবে তা চলতে দেওয়া যায় না। এর পরেই জাতীয় স্তরে বদলের ডাক দেন মমতা। বলেন, “এ জন্য আমি বলছি দেশ বদল চাইছে। উন্নততর রাষ্ট্রগড়ার জন্য এই বদল দরকার। এটাই পরিস্থিতির দাবি বলে আমি মনে করি।”
মমতার এ বারের সফরে ধর্মযাজকদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে বক্তৃতা দিতে যাওয়ার কথা ছিল। সে প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা বলেন, আমি যেখানে যাব ঠিক করছি ওরা সেখানেই ঝামেলা পাকাচ্ছে। প্রোগ্রাম বাতিল করাচ্ছে। কিন্তু এ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। চিরকাল রাস্তায় লড়াই করেছি। এ বারও রাস্তায় নেমেই লড়াই করব।
সোমবার দুপুরে মমতা দিল্লি সফরের জন্য রওনা হওয়ার আগে অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি প্রকাশ হয়। সে ব্যাপারে নবান্নে বসেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনের আলোচনা সভা থেকেও একই ভাবে এনআরসি-র সমালোচনা করেন মমতা। পরে তিনি আলোচনা সভা থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকরা তাঁর কাছে এ ব্যাপারে ফের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেন মমতা বলেন, “অমিত শাহ ভেবেছেন কি! যাকে চাইবেন তালিকা থেকে বাদি দিয়ে দেবেন!”
Be the first to comment