ক্যান্টিন চালাচ্ছেন মহিলারা। ভাত, ডাল, সবজি, মাছ, মাংস, রুটি, ওমলেট পাওয়া যায়। বাইরের হোটেলের থেকে দাম অনেকটাই কম। রান্না ও খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে মহিলারা। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্যান্টিন খোলা। রবিবার বন্ধ ক্যান্টিন।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা চালাচ্ছেন ক্যান্টিন। একটি পুরুলিয়া জেলা পরিষদের অফিসে, আরেকটি জেলা গ্রামোন্নয়ন সংস্থার ভবনে। দু’টি ক্যান্টিনেই মিলছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি ঘরোয়া রান্না। পরিবেশনের দায়িত্বেও মহিলারাই। বাইরের হোটেলগুলির থেকে দামও অনেকটাই কম। আর্থিক স্বাধীনতা পেয়ে খুশি মহিলারা। পুরুলিয়া জেলা পরিষদ ও জেলা গ্রামোন্নয়ন সংস্থার ভবনে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে আসেন বহু মানুষ। খিদে পেলে আশেপাশের হোটেলে যেতে হত। এখন অবশ্য হাতের কাছেই ক্যান্টিন। জেলা পরিষদ ও জেলা গ্রামোন্নয়ন সংস্থার অফিসে ক্যান্টিন চালাচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। একেবারের বাড়ির মত রান্না হওয়ায় প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে ক্যান্টিনে। সরকারি সাহায্যে আর্থিকভাবে স্বাধীন হয়েছেন মহিলারা।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা রেখা কালান্দি বললেন, ‘‘আমরা খুব খুশি, কারও কাছে হাত পাততে হয় না ৷’’ অন্য এক সদস্যা গঙ্গা মাহাত বলেন, ‘‘স্বামীর টাকায় সংসার চলে না, আমরা রোজগার থেকে লাভ হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ৷’’
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এখন সরকারি অনুষ্ঠানেও খাবার দেওয়ার দায়িত্ব পাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া জেলার মেয়েরা এগিয়ে এসেছে। তাঁদের সংসার হয়েছে স্বচ্ছল। ঘুচেছে অভাব।
Be the first to comment