বুধবার সংসদ ভবনে পৌঁছে কথা মতোই প্রথমে সেন্ট্রাল হলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর হঠাৎই কি মনে হল, সেখান থেকে বেরিয়ে দ্রুত পায়ে হাঁটা লাগিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর ঘরে দিকে। অতীতে বাজপেয়ী সরকারের আমল থেকে মমতার সঙ্গে বরাবরই আডবাণীর স্নেহের সম্পর্ক। ইদানীং মমতাও প্রায়শ মোদী-অমিত শাহদের খোঁচা দিতে বলেন, বিজেপি-তে ভাল মানুষ কি নেই! আডবাণীজি রয়েছেন, সুষম স্বরাজ রয়েছেন, রাজনাথ জি রয়েছেন!
আডবাণীর ঘরে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন তা বাইরে অপেক্ষমান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানতেন। আর জানা ছিল কাছাকাছি দাঁড়িয়ে দুই সাংবাদিকের। কিন্তু উনি যে ঘরে আর কে জানত! এমন সময়েই দেখা যায় গ্রাউন্ড ফ্লোরের করিডর বেয়ে মুকুল রায়ও এগিয়ে আসছেন আডবাণীর ঘরের দিকে। সবে তিনি আডবাণীর ঘরের দরজা ঠেলতে যাবেন, পাশ থেকে এক সাংবাদিক বলে ওঠেন,-ভিতরে কিন্তু মমতাজি রয়েছেন। শুনেই থমকে যান মুকুলবাবু। তবে চকিতে নিজেকে সামনে নিয়ে বলেন, না না আডবাণীজির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি না। আমি তো বিজেপি-র সংসদীয় পার্টি অফিসে যাব। আডবাণীর ঘরের বাম দিকে বিজেপি-র পার্টি অফিস। তাড়াতাড়ি সেই ঘরে ঢুকে পড়েন মুকুলবাবু।
Be the first to comment