আমার বাবা মায়ের জন্মতারিখ জানি না। ১৯৭১ সালের আগের কোনও পারিবারিক নথি দেখাতে বললে আমি নিজেই দেখাতে পারব না।’ অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দিল্লিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অসমে বৈধভাবে বসবাসকারী কোনও নাগরিকের নাম নাগরিকপঞ্জিতে তোলার জন্য প্রমাণ করা দরকার যে তাঁর পরিবার ১৯৭১ সালের আগে থেকেই বৈধভাবে এই দেশে বসবাস করেন। এইজন্য ১৯৭১ সালের আগের নির্বাচনী তালিকাও ব্যবহার করা হয়েছে। সেইজন্য ডিজিটাইজও করা হয়েছে এই সব তালিকা। বহুক্ষেত্রেই সাধারণ নাগরিকদের প্রমাণ দিতে হয়েছে যে তাঁদের পূর্বপুরুষের নাম সেই তালিকায় ছিল। মঙ্গলবারেও তিনি বলেছিলেন, বাংলায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জি হলে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হবে।
তৃণমূলে মমতা-ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার আসলে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের বাসিন্দা। ১৯৭১ এর আগেই কলকাতায় চলে এসেছিলেন তাঁরা। সেই আমলে অনেক পরিবারেরই সরকারি নথিপত্র ঠিকঠাক থাকত না। শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয়, শহরাঞ্চলেও অনেকেরই বার্থ সার্টিফিকেট বা এই ধরণের সরকারি নথি তৈরি করাই হত না। ফলে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলছেন তার যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে।
তাছাড়া ১৯৭১ সালের আগের নির্বাচনী তালিকা কতটা সঠিক সেই প্রশ্নও তুলছেন ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই। বহু সময়েই দেখা যায় বহুদিন ধরে একজায়গায় থাকার পরও সরকারি কর্মীদের ত্রুটি বিচ্যুতিতে অনেকেরই নাম ওঠে না এই তালিকায়।
অশিক্ষিত বা দরিদ্র পরিবারের অনেকেই এই সমস্ত তালিকায় নিজেদের নাম তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সচেতনতা অনেক পরে এসেছে।
Be the first to comment