অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল কোচবিহার কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা মজিদ আনসারি খুনে অন্যতম অভিযুক্ত। শুক্রবার ভোররাতে অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে পাকড়াও করা হয় জামিরুল হক নামে ওই অভিযুক্তকে।
কলেজে ছাত্র ভর্তি নিয়ে গত ১৩ জুলাই বহিরাগতদের সঙ্গে গণ্ডগোল হয় কোচবিহার কলেজের ছাত্রদের। সে দিনই বাড়ি ফেরার সময় কলেজের ছাত্রনেতা মজিদ আনসারিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ১২ দিন ধরে যমে মানুষে টানাটানির পর ২৫শে জুলাই রাতে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কোচবিহার শহর। মজিদকে খুনের চক্রান্তে যাঁদের নামে এফআইআর হয়েছিল তাঁদের মধ্যে তৃণমূল নেতা মুন্না খান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে গা ঢাকা অভিযুক্ত বাকি ৭ জন। অবশেষে এ দিন ভোরে অসম বাংলা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হল জামিরুলকে। তাঁর বাড়ি কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের পানিশালা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারির ভয়ে ভিন রাজ্য থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ডেরা বদল করে চলেছে অভিযুক্তরা। এ দিন অসমে পালানোর সময় কোতোয়ালি থানার পুলিশ জামিরুলকে ধরে ফেলে। তাকে জেরা করলেই বাকিদের খোঁজ মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ।
ধৃতকে আজ আদালতে তোলা হবে জানতে পেরেই কোচবিহার আদালত চত্বরে ভিড় করেন ছাত্র-ছাত্রীরা। দুই অভিযুক্ত জামিরুল ও মুন্না খানকে আদালতে তোলার পরেই অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। চলে স্লোগান। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
Be the first to comment