অবশেষে চিহ্নিত করা গেল এটিএম-প্রতারণা কাণ্ডের অপরাধীকে

Spread the love
অবশেষে চিহ্নিত করা গেল এটিএম-প্রতারণা কাণ্ডের অপরাধীকে। তবে এখনও সন্ধান মেলেনি তার। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার যে দু’টি এটিএম থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাপিস হয়েছে, সেই দু’টি এটিএমের সিসি ক্যামেরার পুরনো ফুটেজ খতিয়ে দেখে সাইবার প্রতারককে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
গোয়েন্দা দফতর সূত্রের খবর, গড়িয়াহাটের কানাড়া ব্যাঙ্ক সংলগ্ন এটিএমটির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে সেখানে এক যুবক আসেন। অনেক ক্ষণ ধরে এটিএমের ভিতরে ছিলেন তিনি। যন্ত্রের উপর ঝুঁকে পড়তেও দেখা গিয়েছে ফুটেজে। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবকই এটিএমে ‘স্কিমিং মেশিন’ এবং গোপন ক্যামেরা বসিয়েছে। ওই এক বারই নয়, এর পরেও ওই একই যুবককে একাধিক বার কানাড়া ব্যাঙ্কের ওই এটিএমে ঢুকতে দেখা গিয়েছে।
অর্থাৎ ওই যুবক একাধিক বার এটিএমে ঢুকে স্কিমিং মেশিন ও ক্যামেরা বসিয়েছে। তথ্য হাতিয়েছে। অথচ তা গত চার মাস ধরে কেউ টের পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এটিএমে কোনও নিরাপত্তারক্ষী না থাকার কারণেই সাইবার প্রতারক অবাধে এটিএমের ভেতর ঢুকে তার কাজ করে গিয়েছে। কানাড়া ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এটিএমে আগে নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। কিন্তু তিনি কাজ ছেড়ে দেওয়ায় আর নতুন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়নি। তবে আশঙ্কার বিষয় হল, শুধু এই একটি এটিএম নয়, শহরের একাধিক এটিএমেই কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই।
ইতিমধ্যেই শহর জুড়ে এটিএমের টাকা লুঠের তদন্তে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (‌সিট)‌ গড়েছে কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এটিএমে স্কিমিং মেশিনের সাহায্যে এটিএমের পিন নম্বর ক্লোন করে কলকাতার ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা লুঠ করা হয়েছে। ২৪ জুলাই থেকে টাকা লুঠ শুরু হয়েছিল। এর পরে প্রতারিত গ্রাহকেরা থানায় অভিযোগ জানান। এ পর্যন্ত মোট ৭৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লুঠের পরিমাণ কুড়ি লক্ষ টাকা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*