ফের এটিএম থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো দু’জনকে। তবে ঘটনাটি একটু আলাদা। কারণ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের উপরেই দায়িত্ব ছিল এটিএম মেশিনে টাকা ঢোকানোর। উল্টে তাঁরা টাকা হাতিয়ে পালান।
ঘটনাটি দিল্লির। দিল্লির এসআইএস ক্যাশ সার্ভিসের উপর দায়িত্ব থাকে বিভিন্ন এটিএমে গিয়ে মেশিনগুলিতে টাকা ঢোকানোর। সেই কাজের জন্যই বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাছে থেকে টাকা নিয়ে কোম্পানির রাজৌরি গার্ডেন এলাকার একটি ভল্টে জমা করা হয় টাকা। তারপর প্রয়োজন মতো কোম্পানির ছেলেরা গিয়ে শহরের বিভিন্ন এটিএমে টাকা ঢুকিয়ে আসেন।
এই কাজের জন্যই ২৭ জুলাই মনীশ কুমার ও সতপাল নামের দুই যুবক ব্যাঙ্কের ভল্ট থেকে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা নিয়ে বেরোন। কিন্তু ঘণ্টা খানেক পরেই তাঁরা সব টাকা এটিএমে না ঢুকিয়ে কিছু টাকা নিয়ে অফিসে ফিরে আসেন। ফের কিছুক্ষণ পর টাকা ঢোকানোর কাজে বের হন তাঁরা। অভিযোগ তারপর থেকেই আর তাঁদের খোঁজ মিলছিল না।
তারপরেই বুধবার ব্রাঞ্চ হেড প্রেম সাভারিয়া পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত করতে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রথমে তাঁরা ফিরে এসেছিলেন। তারপর আরও বিভিন্ন এটিএম মেশিন খুলে আরও ৮০ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা হাতিয়েছেন তাঁরা। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন মনীশ ও সতপাল।
সিসিটিভি ও অন্যান্য সূত্র ধরে খোঁজ চালায় পুলিশ। পশ্চিম দিল্লির পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মনীশের বাড়ির কাছে ফাঁদ পাতেন তাঁরা। শুক্রবার গভীর রাতে নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন মনীশ। তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় সতপালকেও। মনীশের ডেরা থেকেই উদ্ধার হয় ৬৪ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা কোথায় আছে সেই ব্যাপারে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।
Be the first to comment