পঞ্চায়েত ভোট মিটে গিয়েছে তিন মাস হতে চলল। কিন্তু পঞ্চায়েত মামলার নিস্পত্তি হয়নি। ৩৪ শতাংশ ভোট না হওয়া আসনের কী হবে তা হয়ত সোমবারই জানিয়ে দেবে দেশের শীর্ষ আদালত।
গত ৩ এবং ৪ জুলাই বিজেপি’র দায়ের করা পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল। নির্বাচনের সময়তেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের শংসাপত্র দিতে নিষেধ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই তবে সবচেয়ে বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় শাসক দল জিতেছিল বীরভূম এবং ডায়মন্ডহারবারে। সবুজ আবির মেখে বিজয় মিছিল সেরে ফেলার পরও পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারেননি জয়ীরা। তখনই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলে দিয়েছিলেন এই মামলার শুনানি হবে ৬৬ শতাংশ আসনের নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর।
গত মাসের ৩ তারিখ যখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠবে তার আগেই দিল্লিতে গিয়ে তাঁবু খাটিয়ে নেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। মুকুল রায়ের নেতৃত্বেই দিল্লির দুঁদে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই মামলায় এগোয় গেরুয়া শিবির। ওই শুনানিতেই বিচারপতি দীপক মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে নাকানি-চোবানি খেতে হয় কমিশনের আইনজীবী এবং সচিবকে।
৪ জুলাইয়ের শুনানির শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলে আগামী ১৭ অগস্ট পঞ্চায়েত মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত। সেই সময় রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ৭ অগস্ট অনেক পঞ্চায়েতের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। ফলে আটকে যাবে বোর্ড গঠন। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এ তো শুধু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসন।’ তখন বলা হয়, এমন অনেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসন আছে যার ফলাফল পরিষ্কার না হলে বোর্ড গঠন সম্ভব হবে না। তখনই ডিভিশন বেঞ্চ জানায় ৬ অগস্ট ঘোষণা করা হবে রায়। কাল কী রায় দেয় আদালত, আবার বাংলায় ভোট হয় কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment