মহারাষ্ট্রে চলতে থাকা সংরক্ষণের দাবিতে কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “কী হবে সংরক্ষণ নিয়ে আন্দোলন করে? দেশে এত চাকরি কই?” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতা বলেন, “ধরা যাক সংরক্ষণ মেনে নেওয়া হলো। কিন্তু চাকরি কোথায়? ব্যাঙ্কের চাকরিতে তথ্য-প্রযুক্তিতে পারদর্শীদের রমরমা। সেখানে পরিসর কমছে।”
তিনি এও বলেন, “সবাই নিজেকে পিছিয়ে পড়া বলে দাবি করছে। আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের ব্যভার করা হচ্ছে।” এর আগেও নীতিন গড়কড়ি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এ বারের মন্তব্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ১০ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিকেই চ্যালেঞ্জ করে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। এর আগেও সেনাবাহিনীর আবাসনের জমি এবং আচ্ছেদিনের স্লোগান মনমোহন সিং-এর বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন এই নেতা। নীতিন গড়কড়ি বলেন, “বিহার, উত্তরপ্রদেশে ব্রাহ্মণরাও এই দাবি করছেন। অথচ তারাই সেখানে সব কিছুর চালিকাশক্তি।” সংরক্ষণের দাবিকে ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে কর্মসংস্থানের বেহাল দশার ছবিটাই সামনে নিয়ে এসেছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দেশের শীর্ষ আদালতে সরকারি চাকরিতে পদন্নোতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের পক্ষে জোরালো সওয়াল করে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের কৌঁসুলি কে কে বেণুগোপাল শুক্রবার শীর্ষ আদালতে বলেন, হাজার হাজার বছর বঞ্চিত থাকার জন্যই তফসিলী জাতি-উপজাতিরা অনগ্রসর হয়ে আছেন। চাকরিতে প্রমোশনের ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য অবশ্যই ২২.৫ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করা উচিত। ২০০৬ সালে একটি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, দেশের সরকার যদি নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে দেখাতে পারে যে প্রোমোশনের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ চালু না হলে উচ্চপদে পিছিয়েপড়া অংশের প্রতিনিধিত্ব কমছে তখনই এ বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। এরপর ১২ বছর বাদে আবার বিষয়টিতে নড়াচড়া পড়ল।
এবিষয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশ মনে করেছিলেন উনিশের ভোটে অনগ্রসর শ্রেনির সমর্থন পেতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু নীতিনের এ দিনের মন্তব্য তাতেই জল ঢেলে দিল।
Be the first to comment