মা কে পাওয়া গেল। কিন্তু খোঁজ মিলল না ছানাদের। দিন কয়েক ধরেই চিতাবাঘের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছিল চা বাগানের বাসিন্দাদের। খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বন দফতর খাঁচা পাতে রাজগঞ্জের ভাণ্ডিগুড়ি চা বাগানে। ছাগলের টোপে সোমবার ভোররাতে ধরা দেয় চিতাবাঘটি।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকবার ভাণ্ডিগুড়ি চা বাগানে চিতাবাঘটির দেখা মেলায় আতঙ্ক ছড়ায় শ্রমিক বস্তিতে। তাই চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা পাতে বন দফতর। বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত জানান, চিতাবাঘটিকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি গর্ভবতী ছিল। এবং খুব সম্প্রতিই সন্তান প্রসব করেছে। তাই চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হলেও ছানাগুলির খোঁজে তল্লাশি জারি থাকবে।
বনকর্মীরা জানান, প্রসবকালে বেশিরভাগ সময়েই জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসে চিতাবাঘ। কারণ বেশি দৌড়ঝাঁপ না করেই খাবার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রেও প্রসবের আগে ভাণ্ডিগুড়ি শ্রমিকবস্তির কাছে চা বাগানের ঝোঁপে চিতাবাঘটি আস্তানা গেড়েছিল বলে অনুমান।
খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। এখান থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
Be the first to comment