দিল্লির ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনের মধ্যে একটা মুলচাঁদ মেট্রো স্টেশন। তার সামনে দাঁড়িয়েই চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন দুই মহিলা। এগিয়ে গেলেন এক সহৃদয় ব্যক্তি। ব্যাস তারপরেই শুরু হলো আসল খেলা। চড়-থাপ্পর মেরে ওই ব্যক্তির মানিব্যাগ নিয়ে চম্পট দিলেন দুই মহিলা। এ যেন একেবারে সিনেমা। তবে টানটান ক্লাইম্যাক্সের মধ্যেও অবশেষে যবনিকা পতন হলো। দিল্লি পুলিশের জালে পাকড়াও হলেন ওই দুই মহিলা থুড়ি তরুণী সুইটি(২৪) এবং মুসকান(২৫)।
গত শনিবার ৪ অগস্ট রাত্রিবেলা মুলচাঁদ মেট্রো স্টেশনের সামনেই চলছিল পুলিশে পেট্রোলিং। সেই সময় তারা দেখতে পান দুই মহিলাকে ধাওয়া করে ছুটছেন এক ব্যক্তি। স্বভাবতই তাঁদের পিছনে ছুটতে শুরু করে পুলিশ। এরপরেই সামনে আসে আসল তথ্য। ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে দুই মহিলা তাঁর সমস্ত টাকাপয়সা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন। তিনি জানান, শনিবার মেট্রো স্টেশনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন ‘হেল্প, হেল্প’ বলে চিৎকার করছেন দুই মহিলা। বাইক থামিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলে মুসকান নামের তরুণী তাঁকে সপাটে এক চড় মারেন। আর তারপরেই ওই ব্যক্তির মানিব্যাগ নিয়ে লাজপত নগরের দিকে ছুটতে শুরু করেন মুসকান এবং সুইটি।
জেরায় ওই দুই তরুণী জানিয়েছেন তাঁরা পড়াশোনা জানেন না। মুসকান জানিয়েছেন তিনি একজন বিধবা। আর সুইটিও স্বামীর থেকে আলাদাই থাকেন। ডিভোর্স কেস চলছে তাঁর। মুসকান এবং সুইটির দাবি, নিজেদের রুজিরুটি জোগাড়ের জন্যই এই পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। রাত্রিবেলা এ ভাবে সাহায্য চেয়ে লুঠপাট চালান তাঁরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের টার্গেট থাকেন পুরুষরা। প্রথমে চেঁচিয়ে সাহায্য চাওয়া হয়। আর কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে এলেই শুরু হয় অ্যাকশন। নিমেষে হাতসাফাই সেরে চম্পট দেন তাঁরা। এমনকী তাঁদের নামে পুলিশে অভিযোগ করলে ওই ব্যক্তিদের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হতো।
Be the first to comment