জওহরলাল নেহেরু গোমাংস খেতেন, সঙ্গে খেতেন শূয়োরের মাংসও। তিনি কোনও ভাবেই পন্ডিত নন।’ ফের মুখ খুলে বিতর্কে জড়ালেন রাজস্থানের আলওয়ারের বিজেপি বিধায়ক জ্ঞান দেব আহুজা।
এই বিস্ফোরক মন্তব্যে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে তাতে আমল না দিয়ে জ্ঞান দেবের দাবি, জওহরলাল নেহেরু পণ্ডিত ছিলেন না। এই উপাধি কংগ্রেসের দেওয়া। তবে নেহেরু কেন পণ্ডিত ছিলেন না তার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আহুজা। তিনি বলছেন, যে ব্যক্তি গোমাংস খান, শূয়োরের মাংস খান, তিনি কখনও পণ্ডিত হতে পারে না। কংগ্রেস চক্রান্ত করে জওহর লাল নেহেরুর নামের আগে পণ্ডিত শব্দ বসিয়েছে।
শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতর পরিদর্শনের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে এই মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও কংগ্রেসকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করেন আহুজা। তিনি বলেন ভোটে জেতার জন্য বিভেদকে কাজে লাগাচ্ছে কংগ্রেস। নিজেদের জেতার ক্ষমতা না থাকায়, নানা কৌশলের আশ্রয় কংগ্রেস নিচ্ছে বলেই মত তাঁর।
এরআগে, রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচিন পাইলট বলেন রাহুল গান্ধী নিজের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে মন্দির দর্শনের শিক্ষা পেয়েছেন। সেই বক্তব্যের জবাবেই আহুজা এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। আহুজা আরও বলেছেন তিনি যতদূর জানেন রাহুল গান্ধী কখনই নিজের ঠাকুমার সঙ্গে মন্দির দর্শনে যাননি। যদি তাঁর তথ্য ভুল হয়, তবে তিনি নিজের পদ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, যদি শচিন পাইলট ভুল হন, তাহলে তাঁকেও নিজের পদ ছাড়তে হবে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও গোহত্যা নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই বিজেপি বিধায়ক। বলেছেন, যারা গোহত্যা করা করে তারা উগ্রপন্থীদের থেকেও দেশের বড় শত্রু। কারণ উগ্রপন্থীরা তো ২-৫ জনকে মারে। কিন্তু গোহত্যা যারা করে তারা লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করে।
দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়কে যৌনতা ও নেশার কেন্দ্র বলেছিলেন এই বিজেপি বিধায়কই। বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার সিগারেট, ৪ হাজার বিড়ি পাওয়া যায়। পাওয়া যায় ৫০ হাজার ছোট-বড় মাংসের টুকরো যা এখানকার ছেলে-মেয়েরা রোজ খায়। এছাড়াও রোজ এখানকার হস্টেলে ৩ তাজার ব্যবহৃত কন্ডোম ও ৫০০ কন্ট্রাসেপ্টিভ ইঞ্জেকশন পাওয়া যায়। তাহলে ভাবুন এখানে আমাদের মা-বোনেদের কী অবস্থা?’
এ বার দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দিকেই আঙুল তুললেন এই বিজেপি বিধায়ক।
Be the first to comment