দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করছিল বিজেপি। কিন্তু প্রতিবারই বিরোধী দলগুলির বিরোধিতায় পিছু হটতে হয়েছে। শোনা যাচ্ছে এবার আরও আটঘাঁট বেধে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। গোটা ভারতে না হোক, একসঙ্গে প্রায় ১১টি রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানোর ব্যাপারে জোর ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। আর এই ১১টি রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে এনডিএ। ফলে রাজ্যগুলির খুব একটা বিরোধিতার সম্ভাবনা নেই বলেও ধরে নেওয়া যায়। আর সেজন্য নতুন করে আইন সংশোধনেরও প্রয়োজন পড়বে না। ফলে বিরোধিতা করার সুযোগ থাকছে না বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। সূত্রের খবর, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা প্রভৃতি রাজ্যগুলিতে উনিশের মাঝামাঝিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। আবার মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে এবছরের নভেম্বর, ডিসেম্বর নাগাদ।
সব মিলিয়ে কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা এগিয়ে এনে বা কয়েকটি রাজ্যের পিছিয়ে দিয়ে একসঙ্গে ভোট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, বিহার, হরিয়ানা প্রভৃতি রাজ্যে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও একসঙ্গে ভোটের পক্ষেই দাবি তোলেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে আইন কমিশনকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে জল্পনার পালে আরও হাওয়া লেগেছে। সেক্ষেত্রে আগামি এপ্রিল, মে মাসের পরে কয়েকটি রাজ্যে অল্প সময়ের জন্য হলেও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। সেসময় রাজ্যপালরা রাজ্যের দায়িত্ব সামলাবেন।
আবার সম্প্রতি আবার আইন কমিশন দুই দফায় উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সুপারিশ করেছিল। যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে, টিডিপি, জেডি (এস) প্রভৃতি রাজনৈতিক দলগুলির দাবি একসঙ্গে নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তাছাড়া এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল পিডিটি আচার্য। তাঁর মতে, ইচ্ছেমতো চাইলেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায় না। আইনের শাসন ভেঙে পড়লেই একমাত্র রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়।
Be the first to comment