হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছটফট করছে রোগী। এ দিকে নিজের মোবাইল ফোনে ব্য়স্ত নার্স। তাঁর হাত চলছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে। ফলে অ্যান্টিভেনমের অভাবে দীর্ঘক্ষণ ছটফট করে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল কলেজ পড়ুয়া। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই এনেছেন পড়ুয়ার পরিবারের লোকজন।
ছাত্র মৃত্যুর খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে থেকেই হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমান মৃতের পরিবারের লোকজন ও এলাকার বাসিন্দারা। হাসপাতাল ভাঙচুরের চেষ্টা চালান তাঁরা। কর্তব্য়রত ডাক্তার ও নার্সদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, ঘটনার এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জলপাইগুড়ির বেড়ুবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাজা সাহা। এ সি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার পরিবার লোকজন জানিয়েছেন, রাতের খাওয়া সেরে রাজা নিজের ঘরেই পড়াশোনা করছিল। তখনই তার পায়ে ছোবল বসায় বিষাক্ত সাপ। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন বাড়ির লোকেরা। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার দীর্ঘ সময় পরেও রাজার কোনও চিকিৎসা শুরু করেননি ডাক্তার ও নার্সেরা। বরং, কর্তব্যরত নার্স রোগী দেখার বদলে তাঁর মোবাইলে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। অন্যদিকে, রোগীর পরিবারের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর। তিনি বলেছেন, ‘‘রোগীকে খুব খারাপ অবস্থায় পাই। তাকে এট্রোপিন-সহ অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু অ্যান্টিভেনম দেওয়ার মত সময় পাওয়া যায় নি।’’
একই কথা বলেছেন ডাক্তার সুশান্ত রায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ময়নাতদন্ত এখনও শুরু হয়নি। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরেই ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
Be the first to comment