শেষকৃত্য হয়নি তাঁর। শেষ ইচ্ছে মতোই প্রয়াত প্রাক্তন লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ এসএসকেএম হাসপাতালের হাতে তুলে দিয়েছেন পরিবারের লোকজন। সোমনাথবাবু চেয়েছিলেন জীবনাবসানের পর যেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে লাগে তাঁর দেহ। মঙ্গলবার সোমনাথ কন্যা অনুশীলা বসু জানালেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের পরিবারকে জানিয়েছে এক অগ্নিদগ্ধ রোগীর গায়ে লাগানো হবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ত্বক।
২০০২ সালে স্পিকার হওয়ার আগেই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সেই সময় দেহদানের প্রচারকে রাজ্যে সর্বাত্মক করতে পিপলস রিলিফ সোসাইটি এবং স্টুডেন্টস হেলথ হোমের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছিলেন দশবারের সাংসদ। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের এক নেতার কথায়, “সোমনাথ দা সবসময় বলতেন যত পরিমাণ রক্তদান শিবির হয় তার সিকিভাগও হয় না দেহদানের ক্ষেত্রে। তিনি চাইতেন দেহদান কর্মসূচি যেন ধারাবাহিকভাবে করা হয়।”
সোমনাথবাবু বারবার বলতেন, “মানুষের কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছিল মানুষই। আমি সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি মাত্র।” তাঁর প্রাক্তন দলের শীর্ষ কমিটি যতই শোক প্রস্তাব দিতে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগাক, তাঁর মৃত্যুর পর দলমত নির্বিশেষে সকলেই স্বীকার করেছেন এ দেশের সংসদীয় রাজনীতির একজন পুরোধা নেতা চলে গেলেন। আর অগ্নিদগ্ধের গায়ে সোমনাথ বাবুর ত্বক লাগার খবরে সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই বলছেন, মৃত্যুর পরও মানুষের কাজেই লাগছে তাঁর দেহ।
Be the first to comment