সংঘর্ষ-অশান্তি শেষ। সমঝোতার পর ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনেও দাঁড়ি পড়ল বলে। ভাঙড়ে আন্দোলনের রাশ প্রথম থেকেই ছিল সিপিএমআইএল রেডস্টারের হাতে। ভাঙড় আন্দোলনকে সামনে রেখেই সংগঠন মজুবত করার পরিকল্পনা রেডস্টারপন্থীদের। ভাঙড় আন্দোলন শেষের পর এবার কী নতুন পরিকল্পনার খোঁজ ?
আন্দোলনই উত্থানের পথ। দেখিয়েছে সিঙ্গুর – নন্দীগ্রাম। তামিলনাড়ুর কাম্মারু আন্দোলন। আবার আন্দোলনে সাফল্যও অতি বামপন্থী দলের কাছে কাছে মৃত্যুঘণ্টার মত । বিশেষত নির্দিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চলে সেই সম্ভাবনা আরও বেশি। আর তাই ভাঙড় থেকেই নতুন পথ খুঁজতে হচ্ছে আন্দোলনকারীদের
সশস্ত্র সংগ্রামেরও অভিযোগ উঠেছে রেডস্টার ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। ভাঙড়ে আন্দোলন চলার মধ্যেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জমি-জীবন-জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি। গণ-আন্দোলনের মধ্যে অতি বামপন্থী দলের এই সিদ্ধান্ত ছিল সব অর্থেই নজিরবিহীন। আর এখানেই উঠে আসছে ভাঙড় আন্দোলনের অন্য এক দিক।
দিনের পর দিন ভাঙড়ে গা ঢাকা দিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সিপিআইএমএল (রেডস্টার) নেতা অলীক চক্রবর্তী ৷ তাঁর মতে, আগেও তো এমন হয়েছে ৷ কিন্তু ভাঙড়ের মতো আন্দোলন হয়নি ৷
আন্দোলনের মাধ্যমে সংগঠন ছড়ানোয় বিশ্বাসী সিপিআইএমএল রেডস্টারের মতো দল। তাই ভাঙড়ের পর ভাঙড়েরই মতো কোনও জলন্ত ইস্যুর সন্ধান ? নাকি ভাঙড়ে আন্দোলনোর পথ ধরে সংসদীয় রাজনীতিতে পা দেওয়া ? তাই যদি হয়, তবে নিঃসন্দেহে অন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করবে ভাঙড় আন্দোলন।
Be the first to comment