ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়েছে। দিল্লির এইমস হাসপাতালের তরফে যে নতুন মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে তাতে এই কথা বলা হয়েছে। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।
বুধবারই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ ছাড়াও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও বিজেপি এমএলএ মীনাক্ষী লেখি তাঁকে দেখতে যান এইমস-এ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের মোদী হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা হাসপাতালে গিয়েছেন ৯৩ বছরের এই জনপ্রিয় নেতাকে দেখতে। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জেপি নাড্ডা, ধর্মেন্দ প্রধান, রবিশঙ্কর প্রসাদ, মুক্তার আব্বাস নকভি, প্রকাশ জাভড়েকর, আরপি সিংহ, বেঙ্কাইয়া নাইডু-সহ বিজেপির বেশ কিছু নেতা সকালেই হাসপাতালে যান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে। হাসপাতালে রয়েছেন বাজপেয়ীর ভাই ও পরিবারের অন্যান্য লোকেরা।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর এককালের ছায়াসঙ্গী ও পুরোনো বন্ধু বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে বাজপেয়ীকে দেখে আসেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার দুপুরের বিমানে উড়ে যাবেন বাজপেয়ীকে দেখার জন্য। হাসপাতালে রয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সুষমা স্বরাজ প্রমুখ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বাজপেয়ীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই রওনা দিয়েছেন দিল্লির উদ্দেশে। দিল্লির এইমস হাসপাতালকে কার্যত ঘিরে ফেলা হয়েছে পুলিশে। আরও মজবুত করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, ১১ জুন থেকে বুক, কিডনি ও মুত্রনালিতে সংক্রমণ নিয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি হন বাজপেয়ী। মঙ্গলবার রাতের পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। তারপর থেকেই লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে তাঁকে।
Be the first to comment