এ বার ৫০৯ বছরে পা দিল জলপাইগুড়ি বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির মনসা পুজো। আজ থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। শুরুর দিন থেকেই রাজবাড়িতে উপচে পড়েছে ভক্তদের ভিড়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেই রাজ পরিবারের প্রাচীন এই পুজো দেখতে আসেন বহু মানুষ। রাজবাড়ির এই পুজোয় মা মনসার সঙ্গে তাঁর বোন এবং বাহনেরও পুজো হয়।
তবে শুধু পুজোই একমাত্র আকর্ষণ নয়। পুজোকে কেন্দ্র করে বসে মেলাও। যদিও পুজো শেষ হয়ে যায় তিন দিনে। পুজো শেষে রাজবাড়ির নাটমন্দিরের পাশে পদ্মপুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তবে মেলা চলে এরপরেও আরও দুদিন। এ বারও মেলায় বিষহরির পালাগান গাইতে আসবেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নামী পালাগানের শিল্পীরা।
মন্দিরের কূল পুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, জল-জঙ্গলে ঘেরা উত্তরবঙ্গে সাপের দাপট বরাবরের। সেই ভয় কাটাতেই হয়তো মনসা পুজোর রীতি রাজপরিবারে। সেটাই চলে আসছে বরাবর। দুর্গা পুজো হয় প্রথা মাফিক। তারআগেই জাঁকজমক করে হয় মনসা পুজো। প্রতি বছর রথের দিন হয় কাঠামো পুজো। তারপর মাটি পড়ে তাতে। প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় প্রতিমার।
পুজোর তিন দিন দেবীর ভোগের তালিকাটাও নজরকাড়া। প্রথম দিন প্রথা মেনেই উৎসর্গ করা হয় পোলাও, ৫ রকম ভাজা, লাবড়া তরকারি, বলির পাঁঠার মেটে ভাজা, ৫ রকম মাছ ( রুই, কাতলা, ইলিশ, পাবদা, চিংড়ি) খেজুর ও আমসত্ত্বের চাটনি সঙ্গে ঘিয়ে ভাজা লুচি, পায়েস ও ৫ রকমের মিষ্টি। দ্বিতীয় দিনে এই তালিকায় যোগ হয় ফ্রায়েড রাইস। আর তৃতীয় দিনে সাদা ভাত।
Be the first to comment