শুক্রবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল বছর সাতেকের শিশুটি। মনসা পুজোর জন্য কর্ণজোড়ার রায়পাড়া এলাকার সব ঘরেই ছিল অনুষ্ঠান। তাই কোনও বাড়িতে প্রসাদ খেতে গিয়েছে মনে করে বিশেষ গা করেনি তার পরিবার। সকাল হতেই মিলল সেই শিশুর নিথর দেহ। গাছে ফাঁস বেধে নৃশংস ভাবে কেউ হত্যা করেছে শিশুটিকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র দেবু রায়কে গতকাল সন্ধেয় শেষ দেখা গিয়েছিল। তার বাবা শ্রমিকের কাজ করেন। কর্মসূত্রে বেশ কয়েক দিন ধরেই তিনি বাইরে রয়েছেন। দেবুর মা বিমলা জানিয়েছেন, রাত আটটা বেজে গেলেও দেবু বাড়ি না ফেরায় তিনি খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু, প্রতিবেশীরাই জানান, পুজোর জন্য হয়তো কোনও বাড়িতে রয়েছে দেবু।
শনিবার সকালে তার বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দুরত্বে একটি বেসরকারি কলেজের পিছনে ধানক্ষেত লাগোয়া একটি গাছের গুড়িতে ঠেস দিয়ে দেবুকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। শরীরে কোনও সাড় নেই। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতেই মৃত্যু হয়েছিল শিশুটির। গাছের গুঁড়ির সঙ্গে ওড়না জাতীয় কাপড় জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে শিশুটিকে খুন করা হয়। মৃতদেহের পাশে আধখাওয়া আপেল, একটা ১০টাকার নোট এবং কিছু সবুজ রঙের কাঁচের চুড়ি পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও মহিলা থাকতে পারে এই খুনের পিছনে। মনসা পুজো উপলক্ষ্যে তান্ত্রিক ক্রিয়ার জন্যও এই খুন কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শ্রাবণ মাসে ওই এলাকার প্রায় সব মহিলারাই নাকি দু’হাত ভরে সবুজ চুড়ি পড়েন। কিন্তু, দেবুর মা বিমলার হাতে মাত্র চারটে চুড়ি থাকায় সন্দেহের তালিকায় তাঁকেও রেখেছে পুলিশ।
Be the first to comment