মুর্শিদাবাদের সুতিতে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার হয়েছে এক একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ সুতি এলাকার চাঁদের মোড় অঞ্চল থেকে ওই ছেলেটিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার কাছ থেকে ১২টি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ২৪টি ম্যাগাজিন, ৮৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৮টি ৮ এমএম পাইপগান এবং ১৬ রাউন্ড ওই পাইপগানের কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে উনিশ বছরের ওই ছেলেটির নাম মোস্তারুল ইসলাম। মালদার কালিয়াচক হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সে। আদতে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বাসিন্দা হলেও তাঁর বর্তমান ঠিকানা মালদার কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই ফরাক্কা, সামসেরগঞ্জ এইসব এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের সময় বারবার তাঁদের সামনে এসেছে মোস্তারুলের নাম। গত ৩-৪ মাস ধরেই এই পড়ুয়াকে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে শনিবার ধরা পড়েছে সে। পুলিশ জানিয়েছে, মালদা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসত মোস্তারুল। তারপর মোটা টাকার বিনিময়ে ওই সব অস্ত্রের লেনদেন হতো মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায়।
শনিবার অস্ত্রের লেনদেন করতে সুতিতে আসছে মোস্তারুল সে খবর আগেই ছিল পুলিশের কাছে। তাই অপরাধীকে ধরার ছক আগে থেকেই কষা ছিল। ফলে প্ল্যান মাফিক শুরু হয় অভিযান। সুতি এলাকার চাঁদের মোড়ে বাস থেকে নামতেই মোস্তারুল এবং তাঁর আরেক সঙ্গীর পিছনে ধাওয়া করে পুলিশ। যদিও মোস্তারুলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও পালিয়ে গিয়েছে তাঁর সঙ্গী। তাঁর খোঁজেই এখন তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
মোস্তারুলের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২টি বাজারের ব্যাগ। আর তাঁর মধ্যেই ছিল এইসব অস্ত্র। পুলিশ জানিয়েছে, ৭.৬৫ এমেম পিস্তলগুলি বিহারের মুঙ্গের থেকে আনা হয়েছে। বাকি অস্ত্রগুলি মালদাতেই তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেরায় মোস্তারুল পুলিশকে জানিয়েছে, সুতি গ্রামেরই এক ব্যক্তিকে অস্ত্র সরবরাহ করতে এসেছিল সে। যদিও তদন্তের স্বার্থে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ।
Be the first to comment