নিজের সন্তান কে খুন করার অভিযোগে মা বিমলা রায় কে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। গত ১৮ অগস্ট রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত কর্নজোড়া পুলিশ ফাঁড়ির পশ্চিম বোগ্রামের বাসিন্দা দ্বিতীয় শ্রেনির ছাত্র দেবু রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে শিশুটির মা বিমলা রায়কে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নিজের ছেলেকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আজ, সোমবার তাকে রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছে।
গত ১৭ অগস্ট মনসা পুজোর দিন বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় দেবু। পর দিন সকালে বাড়ি থেকে ৭০০ মিটার দূরে নির্জন জায়গায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। একটি গাছের সঙ্গে ঠেস দিয়ে তার দেহটি রাখা ছিল। মৃতদেহের পাশে একটি আধ খাওয়া আপেল, কয়েকটি সবুজ কাঁচের চুরি এবং দশ টাকার একটি নোট পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রামের মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় রাখা হয় তার মা বিমলাকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, দেবুর বাবা বাদল রায় কাজের জন্য শিলিগুড়িতে ছিলেন। বাড়িতে দেবু তার মায়ের সঙ্গেই ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ দেখে দেবুর মায়ের হাতে চুড়ি কিছু কম রয়েছে। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশের মনে। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, বিমলার বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গিয়েছিল শিশুটি। তাই প্রেমিকের পরামর্শেই নিজেদের সম্পর্কের পথের কাঁটাকে সরাতে এই খুন করে বিমলা।
পুলিশি জেরায় প্রথম দিকে বিমলা নানা গল্প ফাঁদলেও পরে ভেঙে পড়ে। এ দিন সকালে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে সে। বিমলার প্রেমিকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। আদালতে বিমলার ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
Be the first to comment