যুব তৃণমূল সভাপতির স্ত্রীকে প্রধান করতে হবে, না হলে প্রানে মারার হুমকি ৩ তৃণমূল নেতাকে

Spread the love
একেবারে মাওবাদী কায়দায় লালকালিতে লেখা পোস্টার। পোস্টারে জেলা যুব তৃণমুল সভাপতির স্ত্রীকে প্রধান করার দাবি। সঙ্গে হুমকি। যদি তা না করা হয় তবে প্রাণে মারা হবে এলাকার তিন তৃণমূল নেতাকে।
সোমবার ভোর ভোর ঘুম ভাঙতেই এই পোস্টার নজরে আসে মাঝেরডাবরির দুর্গাবাড়ি মোড়ের বাসিন্দাদের। আর তারপরেই চাঞ্চল্য। আলিপুরদুয়ার জেলা যুব তৃণমুলের সভাপতি মানস রায়ের স্ত্রীকে প্রধান না করা হলে, দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবজিৎ সরকার সহ আরও দুই নেতাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় পোষ্টারে। বিষয়টি নজরে আসতেই শামুকতলা থানাতে অভিযোগ জানিয়েছেন দেবজিৎবাবু।
দলের মধ্যে মাদার ও যুবর লড়াই এখন তৃণমূল নেতৃত্বের রীতিমতো মাথাব্যাথার কারণ। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই পর্ব থেকেই রাজ্যের প্রায় সর্বত্র বারবার সামনে এসেছে এই দ্বন্দ্ব। ভোট মিটলেও রেহাই মেলেনি। এ বার বোর্ড গঠন ঘিরেও একই লড়াই। মাঝেরডাবরির ঘটনাও সেই মাদার যুবর লড়াইয়ের জের বলেই মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
যদিও দেবজিতবাবু বলেন, “২৩ তারিখ মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। বিরোধীরা এই পোষ্টার ফেলে আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে দিতে চাইছে। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।”
অন্য দিকে জেলা যুব তৃণমুল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মানস রায় বলেন, “আমার স্ত্রীকে পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনোনীত করে ফেলেছেন। আমার স্ত্রী যাতে প্রধান হতে না পারে, সেই কারণে আমার নাম করে এই পোষ্টার দেওয়া হয়েছে। আমি শামুকতলা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। অবিলম্বে  যারা পোষ্টার ফেলেছেন তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মার বক্তব্য, “আমাদের দলের মধ্যে বিভেদ তৈরির চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে বিরোধীরা। তবে তাঁরা সফল হবে না।”
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শামুকতলা থানার পুলিশ। তবে এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তাঁরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*