কেরলে আটকে পড়া এ রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের নিয়ে সোমবার সাঁতরাগাছিতে ফিরছে স্পেশাল ট্রেন। তার মধ্যে এ দিন বিকেলেই ডাউন করমন্ডল এক্সপ্রেস এসে পৌঁছ গিয়েছে হাওড়া স্টেশনে। বাংলা থেকে কেরলে গিয়ে বন্যার কবলে পড়েন এ রাজ্যের বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই কেরলে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার এক যুবকের। এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় ১৫০-রও বেশি শ্রমিক। আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য পরিবহন দফতর। অন্যদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ববি হাকিম, অরুপ রায় বাসে করে বাড়ি পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বন্যাদুর্গতের সঙ্গে দেখা করার জন্যসাঁতরাগাছি স্টেশনে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি ও সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। স্টেশনে নামার পর তাঁদের বাসে করে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।
রবিবারই এর্নাকুলাম থেকে সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে বন্যা দুর্গতদের জন্য দু’টি স্পেশাল ট্রেনের বন্দোবস্ত করছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। রবিবার সন্ধ্যা ছ’টায় এর্নাকুলাম থেকে ছেড়েছে একটি ট্রেন। অন্য ট্রেনটি ছেড়েছে রাত ন’টায়। পাশাপাশি বুধবার সাঁতরাগাছি থেকে বিকেল পাঁচটা পনেরো মিনিটে একটি ট্রেন ছেড়ে যাবে এর্নাকুলামের উদ্দেশে।
কেরলের ভয়াবহ বন্যায় গত এক সপ্তাহে সাড়ে তিনশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জলবন্দি প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় সঙ্কট মোকাবিলা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, নৌসেনা, বায়ুসেনা থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষ। ত্রাণের জন্য চারদিকেই হাহাকার।
এ রকম পরিস্থিতিতে দুর্গতদের আর্থিক সাহায্য এবং পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘চরম সঙ্গকটের মুহূর্তে কেরলবাসীদের জন্য আমার সহমর্মিতা। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
Be the first to comment