বর্বরতার এক নৃশংস ছবি দেখা গেল মধ্যপ্রদেশে। প্রকাশ্য দিবালোকে মাথায় ভারী পাথর মেরে খুন করা হলো এক দলিত কলেজ ছাত্রীকে।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে সেওনি গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা বছর ৩৮-র অনিল মিশ্রর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন গ্রামেরই ২৩ বছরের ওই কলেজ ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন অনিল। কিন্তু অভিযোগ তোলেননি নির্যাতিতা। তারই খেসারত দিতে হলো তাঁকে।
সোমবার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস গভর্নমেন্ট কলেজের সামনে নিজের বাইকে অপেক্ষা করছিলেন অনিল। ওই কলেজেই পড়তেন ওই যুবতী। অভিযোগ ওই ছাত্রীকে কলেজের কাছে দেখতে পেয়ে তাঁকে চুল ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসেন অনিল। তারপর ধাক্কা মেরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর পাশে পড়ে থাকা একটা ভারী পাথর তুলে ওই যুবতীর মাথায় মারেন অনিল।
ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চমকে ওঠেন পথ চলতি মানুষ। তারপর তাঁরা এসে অনিলকে ধরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। অনিলের নামে খুনের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Be the first to comment