রোজভ্যালি কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট পেশ করলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। চার্জশিটে ১৭ হাজার ৫২০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে।
ইডি সূত্রে খবর, প্রথম চার্জশিট জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালতের কাছে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার অনুমতি চেয়েছে ইডি। তিন হাজার পাতার চার্জশিটে জেলবন্দি রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু ছাড়াও নাম রয়েছে আরও দুই ডিরেক্টর অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিবময় দত্তের। চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে রোজভ্যালি হোটেল, রিয়েল এস্টেট এবং এন্টারটেনমেন্ট সংস্থা।
চার্জশিট অনুযায়ী, এই সংস্থাগুলিকে সামনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ওড়িশা এবং ত্রিপুরা থেকে এই টাকা তুলেছিল রোজভ্যালি। সেই টাকার একটা অংশ লগ্নিকারীদের ফেরৎ দেওয়া হলেও বেশির ভাগ টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।
এ বছরে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি রোজভ্যালির গয়না বিপণি-সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসমের ৬ টি হোটেল, ত্রিপুরায় ১৭ একরের বিনোদন পার্ক, কলকাতায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৬৪ স্কোয়ার ফুটের অফিস, ভুবনেশ্বরে ১১ হাজার ৪৪৫ স্কোয়ার ফুটের জমি, ১৩ টি প্লট, কলকাতার একটি হাউসিং কমপ্লেক্সে গ্যারেহ-সহ ৩ টি ফ্ল্যাট। আগামী দিনেও এই নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, প্রথম চার্জশিটে মূলত কী কী ভাবে রোজ ভ্যালির এই সংস্থাগুলি টাকা তুলেছে এবং কী ভাবে সেই টাকা পাচার করেছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, রোজভ্যালির এই ডিরেক্টররা ছাড়াও একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁদের মাধ্যমে সেই টাকা পাচার হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটে সেই ব্যক্তিদের ভূমিকা উল্লেখ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে।
Be the first to comment