অপেক্ষা শুধু মাত্র লোড টেস্টিং সার্টিফিকেটের ৷ তাহলেই দুর্গা পুজোর আগেই উদ্বোধন হয়ে যাবে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের ৷ মঙ্গলবার স্কাইওয়াক পরিদর্শনের পর এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷
ইতিমধ্যেই দেশের সবচেয়ে বড় স্কাইওয়াক প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে । এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ । দিন রাত এক করে কাজ করছেন শ্রমিকরা । সামনেই দুর্গা পুজো। তার আগেই যাতে স্কাইওয়াক প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ন করতে পারেন শ্রমিকরা, তা খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার দক্ষিণেশ্বরে গিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ সঙ্গে ছিলেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা৷ এই প্রকল্প নির্মাণে রাজ্যের খরচ পড়ছে মোট ৬৫ কোটি টাকা৷
বর্তমানে স্কাইওয়াক প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখে খুশি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী৷ তিনি বলেন, শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে৷ তবে নিরাপত্তার বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ এখন দরকার লোডিং সার্টিফিকেটের৷ সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই আশা করা যায় ওই সার্টিফিকেট পেয়ে যাবে সরকার। সার্টিফিকেট পেলেই উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মূলত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বিভিন্ন পুজো, পার্বণে প্রচণ্ড ভিড় হয় ভক্তদের৷ বিটি রোড থেকে মন্দির পর্যন্ত যানজটের সমস্যার মুখে পড়তে হয় পুণ্যার্থীদের৷ সেই সমস্যা দূর করতেই স্কাইওয়াক তৈরির পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার৷
প্রথম পর্যায়ে নির্দিষ্ট সময়ে স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হয়নি৷ ফলে চলতি বছরের অক্টোবরে স্কাইওয়াক প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কাজের তদারকির দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে৷
এখন দেখার বাঙালির সেরা উৎসবের আগে নবনির্মিত স্কাইওয়াক জনসাধারণের জন্য চালু করা যায় কিনা৷ তাহলে সেটাই হবে রাজ্যের তরফে পুণ্যার্থীদের দুর্গা পুজোর সেরা উপহার৷
Be the first to comment