গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং পাহাড়েই আছেন, জানালেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া

Spread the love

নেপালে নয়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং পাহাড়েই আছেন। আজ একথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও দার্জিলিঙের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। নির্দিষ্ট স্থান না বললেও তিনি বলেন, “গুরুং ভারতেই আছেন। দার্জিলিং বা ডুয়ার্সে আছেন। ক্ষমতা থাকলে খুঁজুক রাজ্য।”
তাঁর বিরুদ্ধে গুরুংকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে সাংসদ বলেন, “অসাংবিধানিকভাবে কোনও অথরিটির হাতে বিমল গুরুংকে মরতে দেব না বলেছিলাম। এটা বলা যদি তাঁকে আশ্রয় হয় তো দিচ্ছি।”
গুরুং-এর সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে সুরেন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, “গুরুংদের প্রতি প্রতারণা করছে রাজ্য। একতরফা ভাবে নাম কাটা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গুরুং ও তাঁর দল আমার সহযোগী। সহযোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। অগণতান্ত্রিকভাবে তাঁকে একতরফা ভাবে রাজ্যের রোষানলে পড়তে দেব না।”
পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে সাংসদ বলেন, “রাজ্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্র-রাজ্য অফিসার লেভেলে বৈঠক ডাকা হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আশ্বাস পেয়েছি। রাজ্য একান্তই অংশগ্রহণ না করলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে গুরুংদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবে কেন্দ্র।” তিনি আরও বলেন, “পাহাড়ের কাছেই চিন সীমান্ত। ডোকালাম রয়েছে। ওখানে শান্তি ফেরেনি। কতগুলি ল্যাংড়া ঘোড়া দেখিয়ে পাহাড় হাসছে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘর ভেঙে, দল ভেঙে, সমাজের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে শান্তিস্থাপন করা যায় না। শান্তি না ফিরলে অন্য দেশের শক্তি এর সুযোগ নিতে পারে।
পাহাড়ে ১১টি জনজাতির বাসিন্দাদের SC তকমা দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “এই নিয়ে গতকাল বিভাগীয় মন্ত্রী জুয়েল ওঁরাওয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ২০১৬ সালে যে কমিটি গড়া হয়েছিল, তারা দেড়মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। আগামী শীতকালীন অধিবেশনে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করা হতে পারে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*