বক্তৃতার শেষে বলেছিলেন ‘ভারত মাতা কি জয়’। সেই অপরাধে ঈদের নামাজ পড়ার মাঝেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে হলো কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহকে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিচারণায় যে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল তাতে উপস্থিত ছিলেন আবদুল্লাহ। বাজপেয়ী সম্পর্কে নিজের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার পর বক্তৃতার শেষে তিনি বলেন ‘ভারত মাতা কি জয়।’ তাঁর এই উক্তি ভালোভাবে নেননি কাশ্মীরের বেশ কিছু লোক।
আর তাই বুধবার বকরি ঈদ উপলক্ষ্যে কাশ্মীরের সবথেকে পবিত্র দরগা শ্রীনগরের হজরতবলে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। নামাজ পড়ার জন্য একেবারে সামনের সারিতে বসেছিলেন ৮০ বছরের ফারুখ আবদুল্লাহ। সেই সময় সেখানে উপস্থিত বেশ কিছু যুবক ‘ফারুখ আবদুল্লাহ গো ব্যাক’ আওয়াজ তুলতে থাকেন।
এমনকী অনেকে আবদুল্লাহর কাছে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু আবদুল্লাহর সামনে থাকা লোকেদের জন্য তাঁরা সেটা পারেননি। এই প্রসঙ্গে ফারুখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি আমার নামাজ শেষ করার পরেই সেখান থেকে বেরিয়েছি। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী কাশ্মীরের মানুষদের জন্য অনেক কিছু করেছিলেন। তাই তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে আমি একটু আবেগপ্রবন হয়ে পড়েছিলাম।’
এ দিনের বিক্ষোভের ব্যাপারে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরা প্রত্যেকেই আমার লোক। খালি তাঁদের ভুল পথে চালনা করা হচ্ছে। আমার দায়িত্ব তাঁদের সঠিক পথে নিয়ে আসা। একজন নেতাকে অনেক সময় জনতার ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তাই বলে কখনওই সে নিজের কর্তব্যকে অবহেলা করতে পারে না। আমার আশা এই যুব সম্প্রদায় ঠিক সঠিক পথে ফিরবে।’
Be the first to comment