প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর অস্থি কলস নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তা রাতে রাখা হয়েছে দলের সদর দফতরে।
রাতে রাজ্য বিজেপি-র তরফে জানানো হয়েছে, কাল অস্থি কলস নিয়ে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে যাত্রায় সামিল হবেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তবে কেবল একটি অস্থি কলস বিসর্জন করা হবে না। তৈরি করা হয়েছে আরও চারটি অস্থি কলস। মূল কলসটি যেমন বিসর্জন দেওয়া হবে গঙ্গাসাগরে। তেমনই বাকিগুলির মধ্যে একটি বিসর্জন করার পরিকল্পনা রয়েছে কালীঘাটেও। সেখানে বিসর্জন দিতে কোনও সমস্যা হলে, দক্ষিণেশ্বরে গঙ্গার ঘাটে তা বিসর্জন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন কালীঘাটে। তাঁর নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যেও কালীঘাট পড়ে। গোটা পরিকল্পনার মধ্যে তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন অনেকেই।
ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে অস্থি কলস নিয়ে যাত্রার নজির এর আগেও রয়েছে। যেমন রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর তাঁর অস্থি কলস কলকাতায় আনা হয়েছিল এবং বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল গঙ্গাসাগরে। এ বারও বাজপেয়ীর অস্থি কলস নিয়ে যাত্রার নেপথ্যে আদতে তাঁকে ঘিরে আবেগকে চারিয়ে দেওয়ার কারণ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কেন্দ্র বিজেপি-র জন্য যে উর্বর জমি তা গত লোকসভা ভোটের সময়েই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। ফের সাধারণ নির্বাচন আসছে। তাই অস্থিকলস যাত্রা নিয়েও বিজেপি কৌশলী বলে মনে করছেন অনেকে। তা ছাড়া স্মৃতি ইরানির কলকাতায় আসাটাও তাৎপর্যপূর্ণ। এমনিতেই স্মৃতি ভাল বলিয়ে কইয়ে। উপরি ঝরঝরে বাংলায় কথা বলতে পারেন।
গঙ্গাসাগর ও কালীঘাট ছাড়া বাকি তিনটি অস্থিকলস ভাসানো হবে যথাক্রমে বর্ধমানের ত্রিবেণীতে, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এবং কোচবিহারের তোর্সা নদীতে। অর্থাত বাজপেয়ীর অস্থি কলস যাত্রা নিয়ে গোটা বাংলাতেই প্রভাব ফেলতে তৎপর বিজেপি।
Be the first to comment