ছবি (শুভেন্দু দাস)
মেলালেন, দিদিই মেলালেন।
‘কাল সকাল থেকেই স্টুডিওর কাজ শুরু হবে।’ প্রযোজক, অভিনেতা দু’পক্ষকে পাশে বসিয়ে নবান্নে ঘোষণা করলেন ‘টেলিপাড়ার নিজের লোক’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা আরও জানালেন, ‘প্রত্যেকে খুব দিলখোলা ভাবে আলোচনা করেছে। সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের কাছে প্রবল জনপ্রিয় টেলিসিরিয়ালে যাতে আর কোনও সমস্যা না থাকে তার জন্য গড়া হবে জয়েন্ট রিকনসিলিয়েশন কমিটি। এই কমিটিতে থাকবেন সিরিয়াল ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত অভিনেতা, প্রযোজক, কলাকুশলী এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।
প্রতিমাসেই বসবে এই কমিটির বৈঠক। কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে ফেলবে এই কমিটিই।
এই কমিটির চেয়ারম্যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রধান উপদেষ্টা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও এই কমিটিতে থাকছেন –প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, নিশপাল সিং রাণে, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরূপ বিশ্বাস, অপর্ণা ঘটক ও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে থাকবেন স্টারের সাগ্নিক ঘোষ, জি’র সম্রাট ঘোষ এবং কালারস বাংলার রাহুল চক্রবর্তী।
১৫ তারিখের মধ্যে বকোয়া টাকা মেটানোর আর্টিস্ট ফোরামের দাবিও মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
এই বৈঠকের পর বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সব থেকে বড় ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীকেই। তাঁর পৌরহিত্যেই সব সমস্যার সমাধান হল।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিনেতা-কলাকুশলীদের সঙ্গে প্রযোজকদের গণ্ডগোলে বন্ধ ছিল সমস্ত বাংলা সিরিয়ালে শ্যুটিং। বারংবার বৈঠকের পরও মিলছিল না রফাসূত্র।
গতকাল জানা গিয়েছিল সমাধান সূত্র বার করতে টেলিঅ্যাকাডেমির পক্ষে সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেই বৈঠক হবে সকাল ১১টায়। এরপরেই জানা যায় সেই বৈঠক বাতিল করে বিকেল চারটেয় সবাইকে নিয়ে নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
বোঝাই যাচ্ছিল জনপ্রিয় এই ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
সেই বৈঠকের পরেই আজ সমাধান হয়ে গেল সব সমস্যার।
স্বভাবতই মুখ্যমন্ত্রীর এই হস্তক্ষেপের পর হাসি ফুটছে বাংলার সিরিয়ালপ্রেমী আমজনতার।
Be the first to comment