জলপাইগুড়ির কলেজ পড়ুয়া কবিতা রায়ের মোবাইলে ‘মোমো সুইসাইড চ্যালেঞ্জ’ গেমের লিঙ্ক ফুটে উঠতেই ঘুম উড়ে গিয়েছিল প্রশাসনের। তার মধ্যেই মেদিনীপুরের এক ছাত্রকে ‘মোমো’ খেলতে দেখে নড়েচড়ে বসেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। মোবাইল অ্যাপে ‘মোমো গেম’-এর লোগো লাগিয়ে শেয়ার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে জলপাইগুড়ির এক কলেজ পড়ুয়া। সব মিলিয়ে আতঙ্ক যখন দানা বাঁধছে বাংলায়, সামনে এল কার্শিয়াঙের এক ছাত্র আত্মহত্যার ঘটনা।
নিশ্চিত না হলেও পুলিশের অনুমান, ‘মোমো’ খেলতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। কার্শিয়াঙের সেন্ট আলফাস স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার নাম মণীশ সারকি। বয়স ১৮ বছর। কার্শিয়াঙের সেন্ট মেরি’স হিলের একটি পশু খামারের কাছে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, যে খামারের কাছে মণীশকে ঝুলতে দেখা গিয়েছে সেই খামারের দেওয়ালেই ভয়ানক সব গ্রাফিক্স এবং ছবি আঁকা ছিল। নানা রকম লোগোতে ‘মোমো গেম’-এর সাইন আঁকা ছিল। সেটা দেখেই পুলিশের অনুমান ওই ছাত্র অনেকদিন ধরেই খেলাটি শুরু করেছিল। খেলার একদম শেষ ধাপ পর্যন্ত গিয়েছিল সে। কারণ ‘ব্লু হোয়েল গেম’-এর অভিজ্ঞতাই বলছে, খেলার প্রথম দিকে নানা রকম মামুলি শর্ত দেওয়া হয়। পরে সেটাই ধীরে ধীরে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে থাকে। একদম শেষ পর্যায় হল মৃত্যু।
পুলিশের ধারণা কোনও ভাবে ‘মোমো’ খেলার লিঙ্ক জোগাড় করে ছাত্রটি। এখন প্রশ্ন উঠছে এই লিঙ্ক ছড়াচ্ছে কে বা কারা। এক বা একাধিক অ্যাডমিন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার জলপাইগুড়ির কলেজ পড়ুয়া কবিতা রায়ের মোবাইলে ‘মোমো’ খেলার নিমন্ত্রণ আসে। কবিতা মোবাইলে স্টেটাস চেঞ্জ করে ‘আমি মরে যাবো’ লেখার তিন মিনিটের মধ্যে ওই লিঙ্ক পাঠায় ‘মোমো’র অ্যাডমিন। তার পর খবর আসে মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে। এক স্কুল ছাত্রকে ‘মোমো’ খেলতে দেখে তার পরিবারের সোকজন। জানা যায়, প্রথম তিনটি স্টেজ খেলেও ফেলেছিল সে। পরে তার মোবাইলে একটি অজানা নম্বর থেকে ভয়েস কল আসে। যেটা শুনে ভয় পেয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রের পরিবার।
Be the first to comment