সরকারি জমি জবরদখলের কাজে জমি মাফিয়া হিম্মত সিংকে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করার অপরাধে গ্রেপ্তার হল তৃণমূল কর্মী খোকন সাহা। এবার পুলিশের নজর ভগবান ঠাকুরের দিকে। ইতিমধ্যে ভগবানের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ভগবানের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে কম্পিউটর সহ একাধিক জাল নথি।
চম্পাশরি এলাকায় সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে গ্রেপ্তার হয় হিম্মত সিং চৌহান। গ্রেপ্তারের পরবর্তীতে পুলিশি জেরায় একাধিক তথ্য ফাঁস করে হিম্মত। তদন্ত শুরু করতেই পুলিশ জানতে পারে সরকারি জমি সহ বেসরকারি জমি জবরদখলে হিম্মতের সঙ্গে একযোগে কাজ করত খোকন সাহা। এরপর গতরাতে অভিযানে নামে প্রধাননগর থানার পুলিশ। চম্পাশরি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খোকন সাহা পেশায় ব্যবসায়ী। চম্পাশরি এলাকায় একটি স্টেশনারি দোকান রয়েছে তার। অন্যদিকে ওই বাজার কমিটির সম্পাদকও বটে। একইসঙ্গে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিতি। পুলিশ সূত্রে খবর, সরকারি জমি জবরদখলের কারবারে হিম্মতের খুব কাছের ও বিশ্বস্ত লোক ছিল খোকন সাহা। খোকন সাহা ও হিম্মত সিং দু’জনেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকেই জমির জবরদখলের কারবার চালাত।
হিম্মতের সাগরেদ খোকন সাহার বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। খোকনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ৪৪৭(IPC)সহ একাধিক ধারায়। গ্রেপ্তারের পর আজ খোকন সাহাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নিতে চলেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, হিম্মত সিংকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে সরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে বেসরকারি জমি হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নকল নথি তৈরির কাজে ভগবান ঠাকুর সাহায্য করত। প্রায় চার বছর হিম্মত সিংয়ের সঙ্গে একজোট হয়ে এই কাজ করত সে। হিম্মত সহ একাধিকের ছত্রছায়ায় থাকায় বিভিন্ন আমলাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল বলেই সূত্রের খবর। সেই সুবাদেই অনায়াসে যে কোনও জমির নকল নথি তৈরি করে নিতে সক্ষম ছিল সে।
ভগবান ঠাকুর উৎপল নগরের বাসিন্দা। সেখানে বসেই এই কাজ চালাত সে। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের তরফে উৎপল নগরে ভগবানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। যদিও ভগবানের খোঁজ মেলেনি। তাই এবার ভগবানের খোঁজ পেতে মরিয়া প্রধাননগর থানার পুলিশ।
Be the first to comment