বাড়ি থেকেই উদ্ধার কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার সকালে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বুদাউন জেলা থেকে বছর চোদ্দোর এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’দিন আগেই পুলিশের কাছে ওই কিশোরী অভিযোগ জানিয়েছিল তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিশোরীর অভিযোগ, সোমবার রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘরে বাইরে বেরিয়ে ছিল সে। আর তখনই মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে অপহরণ করে তিন ব্যক্তি। যাঁদের মধ্যে একজনকে সে চিনত। অপহরণ করে ওই তিনজন তাকে নিয়ে যায় গ্রামেরই এক সরকারি স্কুলে। অভিযোগ, এরপর সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে ওই তিনজন। মঙ্গলবার ভোরবেলা ওই স্কুলবাড়ি থেকে অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁর বাবা-মা। মঙ্গলবারই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরীর পরিবার।
ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, শারীরিক পরীক্ষার পর মেডিক্যাল রিপোর্টে মেয়েটির গোপনাঙ্গে কোনও আঘাতের বা অস্বাভাবিক কোনও চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়নি। মেয়েটির বয়ানে অসঙ্গতি আছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এমনকী তদন্তে নেমে তাদের হাতে উঠে এসেছে আরও অনেক তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েকমাসে অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় ১২২ বার ফোনে কথা বলেছে। অভিযুক্ত এবং ওই মেয়েটির মধ্যে সম্পর্কও ছিল বলেও দাবি করেছেন গ্রামবাসীদের অনেকেই।
জানা গিয়েছে ওই কিশোরীর বাবা দিনমজুর এবং মা গৃহবধূ। কিশোরীর এক আত্মীয়ের অভিযোগ, বুধবার সন্ধেবেলায় অভিযুক্তের পরিবার আসে তাঁদের বাড়িতে। ৬০ হাজার তাকার বিনিময়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার কথাও বলে তারা। কিন্তু কিশোরীর বাবা রাজি না হওয়ায় ভয় দেখানো হয় তাঁকে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন কিশোরীর ওই আত্মীয়। এরপর শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে আত্মহত্যা করল ওই কিশোরী তাও ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Be the first to comment