শুক্রবার পঞ্চায়েত মামলার রায় ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৪ শতাংশ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই হাইকোর্টে সুষ্ঠ বোর্ড গঠনের দাবিতে পিটিশন ফাইল করা হলো রাজ্য বিজেপির তরফে।
শুক্রবার পঞ্চায়েত মামলার ফল ঘোষণা হওয়ার পরেই বিজেপির তরফে রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু হাইকোর্টে একটি পিটিশন ফাইল করেন। সেই পিটিশনে আবেদন করা হয়, কোনও রকম গণ্ডগোল ছাড়া সুষ্ঠ ভাবে যাতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করা হয়, সে ব্যাপারে হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হোক রাজ্য সরকারকে।
শুক্রবার পঞ্চায়েত মামলার ফল ঘোষণা হওয়ার পরেই বিজেপির তরফে রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু হাইকোর্টে একটি পিটিশন ফাইল করেন। সেই পিটিশনে আবেদন করা হয়, কোনও রকম গণ্ডগোল ছাড়া সুষ্ঠ ভাবে যাতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করা হয়, সে ব্যাপারে হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হোক রাজ্য সরকারকে।
এই বিষয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘ নির্বাচনের পরে যেখানে যেখানে বিজেপি জিতেছে সেখানে সেখানে আমাদের প্রার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা করে তাঁদের ঘর ছাড়া করা হয়েছে। এখনও আমাদের আড়াই হাজার প্রতিনিধি অন্য রাজ্যে রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এ বার পঞ্চায়েত বোর্ড তৈরি হবে। আমাদের কাছে খবর আছে পুলিশ মিথ্যা মামলা করে আমাদের জয়ী প্রার্থীদের গ্রেফতার করবে বা ঘরছাড়া করবে। অন্যদিকে দুষ্কৃতীদের দিয়ে তাঁদের রাজ্যে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে। আমরা আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই বিষয় জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। সেই ভিত্তিতেই আমরা আজ হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করেছি যাতে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় ঠিকঠাক ভাবে পঞ্চায়েত বোর্ড তৈরি করার।’
সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলা চলাকালীন যেভাবে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব ও আইনজীবীদের ভর্ৎসনা করেছিলেন, তাতে আশার আলো দেখেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় স্বস্তি দেয় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু তারপরেও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে আদালতের অলিন্দ থেকে বেরাতে দিলেন না বিরোধীরা। বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ তাঁরা।
Be the first to comment