ক’জন জানতেন ২৪ অগস্ট কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের জন্মদিন? জানতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নগরপালের জন্মদিনের কথা মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী জনতাকে জানালেন সেই পুলিশের মঞ্চে দাঁড়িয়েই। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের বার্ষিক অনুষ্ঠান ‘জয় হে’তে নেতাজি ইনডোরে বক্তৃতার শুরুতেই বলেন, ‘আজ রাজীব কুমারের জন্মদিন।’ মঞ্চে বসে থাকা আইপিএস বার্থ ডে বয়ও বিস্ময়ের হাসি হেসে ফেলেন!
তাঁর পছন্দের অফিসারদের জন্য তিনি সব করতে পারেন। এ কথা প্রথমবার জানিয়েছিলেন ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই। নির্বাচন কমিশন যখন একের পর এক অফিসারকে সরিয়ে দিচ্ছে তখনই রণংদেহী হয়ে দলীয় প্রচারসভা থেকে মমতা বলেছিলেন, “ভোট শেষ হয়ে গেলে আর নির্বাচন কমিশন থাকবে না। তখন আমি আবার আমার অফিসারদের নিজের জায়গায় ফিরিয়ে দেব।” ওই তালিকায় অনেকের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষও। যদিও এখন আর সেসব নেই। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন রাজনীতিক, যিনি পছন্দের লোকেদের সব কিছুর খোঁজ রাখেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন রাজনীতিক, যিনি পছন্দের লোকেদের সব কিছুর খোঁজ রাখেন।”
এ দিন নেতাজি ইনডোরে ‘জয় হে’ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুলিশ কর্মীরা অনেক সময় আক্ষেপ করে বলেন তাঁদের না আছে শনিবার, না আছে রবিবার না আছে পরিবার। আমি বলি তাঁদের পরিবার আছে। সেটা অনেক বড় পরিবার। মানুষের পরিবার।” এ দিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচিও একদিন কন্যাশ্রীর মতো বিশ্বশ্রী হবে।
এ দিন নবান্ন থেকে বেরনোর সময় মুখ্যমন্ত্রীকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, “বিজেপির ফাঁদে পা দিয়ে যার তার নামে অপমান করে যাচ্ছ৷ আমি তো বিজেপির মত নই। যে পার্টি অফিস থেকে থ্রেট করে সাংবাদিকদের চাকরি খাব! যাকে তোমরা সূত্র সূত্র বলে অপমান করে যাচ্ছ সে কিছুই জনে না। এ বিষয়ে সে তো তোমাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারে। তার তো অধিকার আছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। কোনও কাগজ না দেখে একটা লোককে অপমান করে যাচ্ছ। মনে হচ্ছে আমরা সবাই চোর ডাকাত।” পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এ কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন চিটফান্ড কাণ্ডে রাজীব কুমারকে সিবিআই তলবের খবর প্রসঙ্গে। যদিও একবারের জন্যও কী প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলছেন তা খোলসা করেননি। নেননি কারোর নামও।
Be the first to comment