ভারতীয় জেলে প্রাকৃতিক আলো বা বিশুদ্ধ বাতাস ঢোকে না— এমনই অভিযোগ ছিল ঋণখেলাপের মামলায় অভিযুক্ত ব্রিটেনে পলাতক মদ-ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই লন্ডনে তাঁর প্রত্যর্পণ মামলার শুনানিতে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের অন্দরের ছবি ও ভিডিও চেয়ে পাঠিয়েছিল ব্রিটিশ আদালত। তড়িঘড়ি তাই বিজয় মাল্যর ১২ নম্বর সেলের ভোলই পাল্টে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষেরা।
বন্দী প্রত্যর্পণ মামলায় ব্রিটিশ আদালত জামিন পাওয়ার পর মাল্যকে ভারতে ফেরানো হয়। মুম্বই সেন্ট্রাল জেলের ১২ নম্বর ব্যারাকে যেখানে হাই প্রোফাইল বন্দিদের রাখা হয় সেখানেই রাখা হয় লিকার ব্যারন মাল্যকে। তবে, তাঁর দাবি ছিল যে সেলে তাঁকে রাখা হয়েছে সেখানে খোলা বাতাস নেই, রোদ ঢোকে না। যদিও ভারতের তরফে আদালতে জানানো হয়, মাল্যকে যে ব্যারাকে রাখা হবে সেখানে প্রাকৃতিক আলো, বিশুদ্ধ বাতাস-সহ সবেরই বন্দোবস্ত রয়েছে। তাতে পুরোপুরি নিঃসন্দেহ হতেই বিচারক ১২ নম্বর ব্যারাকের প্রতিটি অংশের ভিডিও ধাপে ধাপে তুলে ভারত সরকারকে জমা দিতে বলে। তার পরই ১২ সেপ্টেম্বর প্রত্যর্পণ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
ভারতীয় তদন্তকারীদের তোলা ১০ মিনিটের ভিডিওয়ে দেখা গিয়েছে ১২ নম্বর সেলের খোলনোলচাই বদলেই দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। সেলের ভিতরে রয়েছে পরিচ্ছন্ন বিছানা, পশ্চিমী কায়দার শৌচালয়, ৬টি টিউব লাইট, ৩টি পাখা। গোটা সেলের দেওয়ালের রঙ ধবধবে সাদা, তাতে শোভা পাচ্ছে ৪০ ইঞ্চির এলসিডি টিভি।
এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘ব্রিটিশ আদালত জানতে চেয়েছিল ভারতের জেল কতটা হাইজিন মেনে চলে। আমরা সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি যে বিজয় মাল্যকে যেখানে রাখা হয়েছে সেই সেল পরিচ্ছন্ন তো বটেই, সেখানে চিকিৎসার সুবন্দোবস্তও রয়েছে। সেলটিতে পূর্ব দিকে জানলা রয়েছে, সুতরাং প্রচুর রোদও ঢোকে।’’ এই ভিডিওই ব্রিটিশ আদালতে জমা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওই অফিসার আরও দাবি করেছেন, জেলের সুরক্ষাও আন্তর্জাতিক মানের। সেলে সবসময় সিসিটিভি চালু থাকে, ব্যারাকের ভিতরে ও বাইরে অতিরিক্ত রক্ষীও মোতায়েন রয়েছে। আদালতকে সেটাও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment