এক মহিলার সোনার হার চুরি করে চম্পট দিয়েছিল ছিনতাইবাজেরা। তাদের ধরতে গিয়ে বড়সড় ডাকাতির পরিকস্পনার হদিশ পেল রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। অপরাধীদের পাকড়াওয়ের পাশাপাশি সেই ডাকাতির ছকেও জল ঢেলে দিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৭ অগস্ট। রিজেন্ট পার্ক এলাকার বাসিন্দা রূপা দাসের সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায় এক ছিনতাইবাজ। তিনি তখন লাফিং ক্লাব থেকে ফিরছিলেন। রূপা জানিয়েছেন, একটি সাদা গাড়ি তাঁর পাশে এসে থামে। সেখান থেকে একজন নেমে তাঁর হার ছিনিয়ে নিয়েই চম্পট দেয়। থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি।
ঘটনার তদন্তে নামে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায়, গাড়িটি ছিল টাটা ইন্ডিকার এবং ভিতরে ছিল দু’জন। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে যাবতীয় নথি সংগ্রহ করে ফেলেন তদন্তকারীরা। খোঁজ মেলে গাড়ির মালিকেরও। সে সোনারপুরের বাসিন্দা।
গত ২১ অগস্ট সোনারপুরে গাড়ি-মালিকের ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েও তার খোঁজ পায়নি পুলিশ। কিন্তু, গাড়ি-সম্পর্কিত একটি অতিরিক্ত তথ্য অফিসারদের হাতে আসে। জানা যায়, গাড়িটি টাটা মোটরস ফাইনান্স লিমিটেডের অধীনে চুক্তিবদ্ধ। অফিসাররা দ্রুত সেই সংস্থার শেক্সপীয়র সরণির অফিসে পৌঁছন এবং সেখান থেকে গাড়ি-মালিকের দুটো নতুন ঠিকানার হদিশ পান। একটি যাদবপুর ও আরেকটি নরেন্দ্রপুরে। অবশেষে, নরেন্দ্রপুরের ঠিকানা থেকেই তার সন্ধান মেলে।
গাড়ি-মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তিনি ছিনতাইয়ের কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর গাড়ি থাকে ড্রাইভারের কাছেই। গাড়ি-মালিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অফিসারেরা দ্রুত পাকড়াও করেন ড্রাইভার মিলনকে। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়। মিলনের কাছ থেকেই খোঁজ মেলে দীপেন্দ্র চক্রবর্তী নামে তার আরেক দোসরের। ছিনতাইয়ের সময় সে-ই মিলনের পাশে থাকত। দীপেন্দ্রকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরার মুখে দু’জনেই জানায় রিজেন্ট পার্ক ও আশপাশের এলাকায় ছিনতাই চালায় তারা। তাদের একটা বড়সড় দলও রয়েছে। সোনারপুরে ডাকাতির পরিকল্পনাও ছিল তাদের। ওই দু’জনের কাছ থেকে ১৭ গ্রাম ওজনের সোনার নেকলেস, সোনার চুড়ি এবং ৩টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছেন অফিসারেরা।
Be the first to comment