জলপাইগুড়ির পি ডি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী কবিতা রায়ের পর এ বার তারই সহপাঠীকে গেম খেলার লিঙ্ক পাঠালো ‘মোমো’। গত ২১ তারিখ কবিতার কাছে ‘মোমো সুইসাইড চ্যালেঞ্জ’-এর লিঙ্ক আসার পর হুলস্থূল শুরু হয়ে গিয়েছিল গোটা জলপাইগুড়িতে। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল অন্যান্য জেলাগুলিতেও। দু’দিন আগেই মেদিনীপুরের এক ছাত্রের মোবাইলে ‘মোমো গেম’-এর লিঙ্ক খুঁজে পায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই কার্শিয়াঙে এই মারণ খেলায় মৃত্যু হয়েছে এক পড়ুয়ার। ফের একই কলেজের ছাত্রীর কাছে খেলার লিঙ্ক আসায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীর নাম পর্ণা চক্রবর্তী। সে তার এক বান্ধবীর কাছে ‘মোমো’ সংক্রান্ত খবরের একটি লিঙ্ক চায়। বান্ধবী সেই লিঙ্ক পাঠালে, পর্ণা খুলে দেখে তাকে গেম খেলার নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছে ‘মোমো’। তার মোবাইলে ফুটে উঠেছে একটি অজানা নম্বর +১(২০৯)২৬৫-১৫৩৯। এর আগে কবিতা রায়ের কাছে +১(২৫১)৯৯৯-৫৪৫১ নম্বর থেকে খেলার নিমন্ত্রণ এসেছিল। ইতিমধ্যেই নিজের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে পর্ণা। বাবা দীপক চক্রবর্তী কে সঙ্গে নিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সে।
জলপাইগুড়ি, মেদিনীপুর, দার্জিলিঙের পর এ বার ‘মোমো’র আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরেও। রামপুরের মালাহার এলাকার বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র আরিফ সরকারের কাছে হোয়াটস্অ্যাপে একাধিক বার ‘মোমো’ খেলার লিঙ্ক পাঠিয়েছে কোনও অ্যাডমিন। ভয়ে ও আতঙ্কে নিজের অ্যাকাউন্ট আনইনস্টল করে দিয়েছে আরিফ।
পুলিশকে সে জানিয়েছে, বার বার এচটা অজানা নম্বর থেকে তার হোয়াটস্অ্যাপে খেলার নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছে ‘মোমো’। অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে অজানা নম্বর থেকে তার মোবাইলে ফোন আসতেও শুরু করে। গত শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আরিফ।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে অনলাইনে প্রায়ই গেম খেলত আরিফ। সেখান থেকেই তাকে খেলার লিঙ্ক পাঠানোর সুযোগ পেয়ে যায় ‘মোমো’।
সাইবার বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, হোয়াটস্অ্যাপ, ফেসবুকের পর এ বার অনলাইন গেম থেকেও ছড়াচ্ছে ‘মোমো সুইসাইড’ ।
Be the first to comment