চোখের জলের রাখি উৎসব

Spread the love

বেঁধে রাখতে পারেননি। মাওবাদীদের বুলেট কেড়ে নিয়েছে বছর সাতেকের ছোট ভাইকে। তাই গত চার বছর ধরে ভাইয়ের ছবিতেই রাখি বাঁধেন দিদি। চোখের সামনে অভাবের সঙ্গে লড়াই করে বড় হতে দেখেছেন ভাইকে। তারপর ২০১২ সালে সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগ দেন ভাই। পোস্টিং হয় ছত্তিশগড়ের সুকমাতে। সেই সময়ও রাখির দিন ভাইকে কাছে পেতেন না। তবু মনে মনেই ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দিতেন দিদি।

কিন্তু সব ওলটপালট হয়ে যায় ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে। মাওবাদী হামলায় সুকমার সেনা ছাউনিতে প্রাণ যায় ৬ সেনা জওয়ানের। তার মধ্যে ছিলেন ছত্তিশগড়ের এই মহিলার বছর ২৩-এর ভাইও। জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনবন্দী দেহ আসে বাড়িতে। তারপর থেকে ভাইয়ের ছবিতেই রাখি বাঁধেন দিদি।

এ বারও তার অন্যথা হলো না। শহিদ ভাইয়ের ছবির সামনে সাজিয়ে দিলেন মিষ্টির থালা। আর বাঁধ ভাঙা চোখের জলে ছবিতেই বেঁধে দিলেন রাখি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এই মহিলা জানিয়েছেন, “রাখির দিন এলেই তরতাজা ভাইটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তবু গর্ব হয় এই ভেবে যে, আমার ভাই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে।”

পঞ্চায়েতের প্রশাসনিক কাজ আর শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকদের ঘাড়ে রাখতে চায় না সরকার। তাই তিন স্তরের জয়ী সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। এই প্রথমবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জয়ীদের এমন প্রশিক্ষণ দেবে সরকার।

বেশ কয়েকটি জায়গায় আগেই শুরু হয়েছিল প্রশিক্ষণের কাজ। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে আটকে থাকায় সার্বিক ভাবে শুরু করা যায়নি। পঞ্চায়েত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে সোমবার থেকেই পুরো দমে চালু হবে এই প্রশিক্ষণের কাজ।

জেলা শাসক, এসডিও এবং বিডিওরা প্রশিক্ষণ দেবেন জয়ীদের। রাজ্যের ৪৫ টি সেন্টারে হবে এই প্রশিক্ষণ। পঞ্চায়েত কী, কেন এ বিষয়ে যাতে জয়ীদের সার্বিক ধারণা তৈরি হয় সেই কারণেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। গ্রামের সরকার হিসেবে পঞ্চায়েতকে আরও দৃঢ় করতেই প্রথমবার এমন উদ্যোগ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*