নির্বাচনের খরচের সীমা বেঁধে দেওয়া হোক। একমাত্র বিজেপি ছাড়া আর সব দলই এই প্রস্তাবে একমত হলেও রাজি নয় একমাত্র বিজেপি। তারা ছাড়া বাকি সবকটি দলের বক্তব্য, খরচ বেঁধে দিলে সবাই ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাবে। সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনার জন্য এই প্রস্তাবটি উঠলে বিজেপির জে পি নাড্ডা ও ভূপেন্দ্র যাদব এতে আপত্তি জানান। তাঁদের যুক্তি, সব পার্টিকেই তাদের আয়ব্যয়ের হিসেব আয়কর দফতরে জমা করতে হয়। এতে কোনও রকমের সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত নয়। প্রচারে কোনও খরচের নিয়ন্ত্রণ না রেখে বরং দেখা উচিত যাতে সবাই যত বেশি সম্ভব প্রচার করতে পারে।
বিজেপি পরে সরকারিভাবে জানায়, নির্বাচন কমিশনের খরচ নিয়ন্ত্রণের দিকে মাথা না ঘামিয়ে বরং স্বচ্ছতার ওপর জোর দেওয়া উচিত। কংগ্রেস অবশ্য এই প্রস্তাব সমর্থন করে বলেছে, প্রার্থীপিছু টাকা খরচের সীমা বাঁধার পক্ষে তারা। অন্য দলগুলি খরচ বাঁধার পক্ষে বেশি সোচ্চার। তাদের কথা, অঢেল টাকা খরচের সুযোগ থাকায় অন্যদের পক্ষে তার মোকাবিলা সম্ভব হয় না। আপ এবং সিপিএম বলেছে, নির্বাচনী বন্ড কেনার সুযোগ বিদেশি কোম্পানিগুলির থাকায় জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে তা বিপজ্জনক হতে পারে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত বলেন, যদি আইনগতভাবে এটা করা যায়, কমিশন নিশ্চয়ই করবে। বৈঠকে সাতটি জাতীয় দল ছাড়াও ৪০টি দলের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
Be the first to comment