জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবারই জেলে ফিরতে হয়েছে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকে। শুক্রবার অপর একটি দুর্নীতির মামলায় তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব ও স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে জামিন দিল দিল্লির আদালত। তেজস্বী দলে লালুর উত্তরাধিকারী বলে পরিচিত। লালুর পরে যদি তিনিও জেলে ঢুকতেন, তাহলে আগামী বছর লোকসভা ভোটে আরজেডির অবস্থা হত শোচনীয়।
লালুর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে গতবছর জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা নীতীশ কুমার আরজেডির সঙ্গে জোট ভাঙেন। তখন তেজস্বী ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। নীতীশের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় তাঁকে পদ খোয়াতে হয়।
পাটনা শহরের কেন্দ্রে দামি একখণ্ড জমি নিয়ে লালু-নীতীশ বিরোধের সূত্রপাত। অভিযোগ, ২০০৬ সালে রেলমন্ত্রী থাকার সময় লালু এক বেসরকারি সংস্থাকে বেআইনিভাবে হোটেল খুলতে সাহায্য করেছিলেন। বিনিময়ে সেই সংস্থা লালুকে ওই মূল্যবান জমিটি দেয়। প্রথমে লালুর দলের এক জনপ্রতিনিধির স্ত্রীর নামে জমি দেওয়া হয়েছিল। পরে রাবড়ি দেবী ও তেজস্বীর নামে হস্তান্তর করা হয়।
উপমুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এই কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে নীতীশ তেজস্বীকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি পদত্যাগ করেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি। তাঁর সাফাই ছিল, ওই জমি হস্তান্তরের সময় তিনি ছিলেন নিতান্ত বালক। সুতরাং কোনও অনিয়ম হলেও তাঁর জানার কথা নয়। নীতীশ তখন বলেন, তেজস্বী প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিবৃতি দিন। তেজস্বী বলেন, তিনি একমাত্র কোর্টেই সব খুলে বলবেন। তখন নীতীশ আরজেডির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ফের ক্ষমতায় আসেন।
Be the first to comment