একেই বলে ভাগ্য! নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচলেন ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার কর্মী সাহেবরাম মুর্মু। কুমিরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে সাহেবরামের একটি হাত। তবে বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে চার কিমি দূরে ধবনীর জঙ্গল এলাকায় রয়েছে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক। আয়তনের দিক থেকে এই চিড়িয়াখানাটি আলিপুরের থেকে কিছুটা বড়।
চিড়িয়াখানার দুটি কুমিরের মধ্যে লড়াই হয় কিছুদিন আগে। তাতে আহত হয় একটি কুমির। কুমিরটির পিছনের পা জখম হয়। প্রাণী চিকিৎসক কয়েকদিন ধরে কুমিরটি চিকিৎসা করছিলেন।
যথারীতি চিকিৎসার জন্য কুমিরটি চোয়াল চেপে রেখেছিলেন সাহেবরাম। আচমকা বৃষ্টি শুরু হতেই হাত ফস্কে যায়। কুমিরটি সাহেবরামের বাঁ হাত কামড়ে ধরে। সঙ্গে সঙ্গে চিড়িয়াখানার সুপার জনার্দন ঘোষ ও অন্যান্য কর্মীরা কুমিরটির মুখে লাঠি ঢুকিয়ে অনেক কসরত করে সাহেবরামকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। রক্তে ভেসে যাওয়া হাতটি পরীক্ষা করে চিকিৎসক বলেন, সাহেবরামকে উদ্ধার করতে উনিশ বিশ হলেই তাঁর হাত ছিঁড়ে খেত কুমিরটি। রাতে হাসপাতাল থেকে সাহেবরামকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “খুব বাঁচা বেঁচে গিয়েছি।”
পরে চিড়িয়াখানার অন্য কর্মীরা কুমিরটিকে চেপে ধরলে প্রাণী চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেন। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলাইচ্চি বলেন, ওই কর্মী এখন বিপদ মুক্ত। এ ধরনের কাজে আরও বেশি সতর্কতা নেওয়া হবে।
Be the first to comment