ইটাহারে গুলি করে খুন করা হল জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা বিকাশ তথা মাধু মজুমদারকে। রাতে বিশেষ কাজে ইটাহার থানায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথেই গুলি করা হয় তাঁকে। ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
গতকাল রাতের ঘটনার পর শনিবার সকাল থেকেই রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকেরা। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকার বাসিন্দা রতন দাসের কথায়, শুক্রবার গোটা এলাকায় লোডশেডিং ছিল। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট সন্ধের পরই অনেক ফাঁকা হয়ে যায়। রাত ৯টা নাগাদ বিকট একটা শব্দে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিকাশবাবু। আর একটা সাদা গাড়ি খুব দ্রুত গতি বাড়িয়ে তাঁদের সামনে দিয়েই বেরিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তখনই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ইটাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান স্থানীয়েরাই। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই বিকাশবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ।
বিকাশ ওরফে মাধুবাবুর এলাকার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। জনপ্রিয় সমাজকর্মী হিসেবেও তাঁকে চেনেন এলাকার সকলে। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। স্থানীয়েরা জানিছেন, মাধুবাবুর মৃত্যুতে গোটা এলাকাতেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকা যছেষ্ট থমথমে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে বিকাশবাবুকে। ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন। পাশাপাশি, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপি জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় দলের গোষ্ঠী কোন্দলই দায়ি।’’
Be the first to comment