গড়িয়ার ছাত্রের নিখোঁজের ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য, বদ্রীনাথ থেকে গ্রেফতার দুই সাধু

Spread the love
 মেধাবী ছাত্রের নিখোঁজের ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য। গড়িয়ার প্রীতম বেরার অন্তর্ধানে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ থেকে গ্রেফতার দুই সাধু। উদ্ধার ছাত্রের পোশাক, ডায়েরি। ধৃতদের একজনের কাছেই মেলে প্রীতমের সিমকার্ড। তবে মেলেনি তার মোবাইল, পাওয়ার ব্যাঙ্ক। তদন্তে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় গড়িয়ার বাসিন্দা ১৮ বছরের প্রীতম বেরা। প্রীতমের মা বলেন, ‘ও মোবাইল নিয়ে বেডরুমে ছিল । আমি বাজার গিয়েছিলাম । দরজা বন্ধ করে দিতে বলেছিলাম । ফিরে দেখি ছেলে আর নেই।’
পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকে বেরোনোর পরই প্রীতমের মোবাইল সুইচড অফ হয়ে যায়। ২৬ মে বাঁশদ্রোণী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন প্রীতমের বাবা। এরপর বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও হদিশ মেলেনি এই মেধাবী ছাত্রের। শেষ পর্যন্ত ৪অগাস্ট রিং হয় প্রীতমের মোবাইলে।
এই প্রসঙ্গে প্রীতমের বাবা প্রদীপ বেরা বলেন, ‘ওর মা ফোন করেছিল । তারপর আমি ফোন করি । একজন লোক ফোন ধরে । সে বলে বদ্রীনাথের রাস্তার পাশের জঙ্গলে প্রীতমের ব্যাগ আর সিম পেয়েছে।’
এরপর বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশের সঙ্গে বদ্রীনাথ পৌঁছন প্রীতমের বাবা ৷ বসুধারা আশ্রম থেকে গ্রেফতার করা হয় শীতল দাস, রবি ইটকার নামে দুই সন্ন্যাসীকে ৷ বসুধারা আশ্রমের সামনেই মেলে প্রীতমের চাদর, পোশাক, ডায়েরি ৷ আশ্রমের ভিতর উদ্ধার হয় প্রীতমের অ্যাডমিট কার্ড ৷
পরিবারের আশঙ্কা, বদ্রীনাথেই প্রীতমের সঙ্গে কোনও অঘটন ঘটেছে। তাঁদের যুক্তি, বাধ্য না হলে প্রীতম কখনই তার ডায়েরি ফেলে যাবে না ৷ সিমকার্ড ছাড়া মোবাইল নিয়ে যাওয়াটাও অযৌক্তিক ৷ ঠাণ্ডা পাহাড়ি এলাকায় প্রীতম তার পোশাকই বা ফেলে যাবে কেন ?

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*