প্রথমে মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে খুন। তারপর, টুকরো টুকরো করে দেহাংশ পাচার। কিন্তু, শেষপর্যন্ত বস্তায় থাকা ছিটকাপড়ের টুকরো আর নিহতের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনই ধরিয়ে দিল খুনিকে। হাওড়ার ডোমজুড়ে ব্যাঙ্ককর্মী খুনের ঘটনা হার মানাচ্ছে টানটান গোয়েন্দা কাহিনিকেও। ডোমজুড়ের রাঘবপুরে একটি বস্তায় মেলে যুবকের মুণ্ডহীন দেহাংশ। দেহটি বেসরকারি ব্যাঙ্ককর্মী পার্থ চক্রবর্তীর বলে শনাক্ত করা যায়। কিন্তু, তাঁকে খুন করল কে? আটচল্লিশ ঘণ্টায় পার্থর খুনিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কীভাবে ধরা পড়ল খুনি?
ডোমজুড়ের কাঁটলিয়ার বাসিন্দা শেখ সামসুদ্দিনের বাড়িতে শেষবার পার্থর ফোনের টাওয়ার লোকেট করা যায় – রাঘবপুরে উদ্ধার হওয়া পার্থর দেহাংশের সঙ্গে কাপড়ের টুকরো মেলে – কাপড়ের টুকরোয় পোশাক প্রস্তুতকারী কোম্পানির ট্যাগ ছিল – পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানা যায়, ওই সংস্থারই দরজি সামসুদ্দিন।
শেষপর্যন্ত দুইয়ে দুইয়ে চার করেই গ্রেফতার করা হয় সামসুদ্দিনকে। ধৃতকে জেরা করে অঙ্কুরহাটিতে মেলে পার্থ চক্রবর্তীর দেহের বাকি অংশও। কিন্তু কেন পার্থকে খুন করল সামসুদ্দিন? একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে মায়ের নামে ১.৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেয় সামসুদ্দিন ৷ কিন্তু, ঋণ শোধ করছিল না সামসুদ্দিন। বুধবার ডোমজুড়ের কাঁটালিয়ায় সামসুদ্দিনের বাড়িতে টাকা আদায়ে যান পার্থ। ঘরের ভিতর দু’জনের বচসা শুরু হয়। সেসময় পার্থর মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে সামসুদ্দিন। পার্থ মেঝেয় লুটিয়ে পড়েন। তখনই দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে পাচারের ছক কষে সামসুদ্দিন। পার্থকে খুন করে তাঁর থেকে ৩.৫৮ লক্ষ টাকা লুঠ করে সামসুদ্দিন ৷
Be the first to comment